রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে দুই লাখ টাকার
উৎকোচের বিনিময়ে দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ
উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সোমবার গভীর রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার
রূপসী কাহিনা এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। মাদক ব্যবসায়ীদের ছেড়ে দেয়ায়
স্থানীয় এলাকাবাসী পুলিশের উপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ছেড়ে দেয়া
আসামীরা হলেন, রূপসী কাহিনা এলাকার চান্দু ফকিরের ছেলে জামাল
হোসেন (৪৫) ও কামাল হোসেন (৪০)। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্র জানায়,
সোমবার রাত ১২টার দিকে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদশা
আলম ১৩০ পিছ ইয়াবাসহ রূপসী কাহিনা এলাকার চান্দু ফকিরের ছেলে
জামাল হোসেন ও কামাল হোসেনকে আটক করেন। পরে রাতেই ঘন্টাব্যপী
আসামী ছেড়ে দেবার রফাদফা চালান এসআই বাদশা আলম। এক পর্যায়ে দুই
লাখ টাকার বিনিময়ে ওই দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, চান্দু ফকিরের ছেলে জামাল হোসেন, কামাল
হোসেন, আওলাদ হোসেনসহ পুরো পরিবারের সদস্যরা ইয়াবা, ফেনসিডিল,
গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসা করে আসছে। এলাকাবাসী তাদের
বাড়িটি মাদকের হাট বলেই চিনেন। এসআই বাদশা আলমের মতো কিছু
অসাধু পুলিশ অফিসারের সেল্টারেই এসব মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ব্যবসা
চালিয়ে আসছে। এতে করে যুব সমাজ ধ্বংশের দিকে চলে যাচ্ছে। রূপগঞ্জ
থানা সুত্র জানায়, এসআই বাদশা আলম গত দের মাস আগে রূপগঞ্জ থানায়
যোগদান করেন। যোগদান করার পর থেকেই তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তার
সঙ্গে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তার এসব
কর্মকান্ডে থানা অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারাও ক্ষুব্দ। এসআই বাদশা আলমের
অপসারন দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত এসআই বাদশা আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি
তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি
করেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, বিষয়টি
তদন্ত করে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।