অনলাইন ডেস্কঃ
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, কর্মসংস্থানসহ সবখানেই দুঃশাসন চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাই আগামী ঈদের পরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে রাজনীতিবিদদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করে ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। ওই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জোটের নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ৫ জানুয়ারির মতো আর নির্বাচন নয়, সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। ঈদের পর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সরকারের অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাতে ওই কর্মসূচিতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশে চলছে দুঃশাসন। গ্যাস-বিদ্যুতের বর্ধিত দামের পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কঠিন হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জীবন।
প্রস্তাবিত বাজেটকে গরিব মারার বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ব্যাংকে যে টাকা রাখবেন, এক লাখ টাকা রাখলেই ৮০০ টাকা কেটে নেবে, এই অবস্থা। কিন্তু তাঁদের টাকা তো এই দেশের ব্যাংকে নেই, তেনারা এগুলো করবেন। তাঁদের টাকা সব দেশের বাইরে। কাজে তাঁদের টাকা তো কাটা যাবে না, কাটা যাবে সাধারণ মানুষের টাকা।’
সাধারণ মানুষের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘এই অবস্থা, সে জন্য প্রতিটি মানুষের উচিত, যারা যেখানে আছে সেখানে আলোচনা করা, সেখানে বসে নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া। এই অবস্থায় কি দেশ চলবে, আমরা কি অবস্থার মধ্যে শুধু হা-হুতাশ করব? আমরা কি না খেয়ে মরব?’
পুলিশ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে পুলিশে অত্যাচার করছে এবং পুলিশের ওপরও আওয়ামী লীগের লোকজন ব্যাপকভাবে অত্যাচার করছে, পুলিশও কিন্তু অত্যাচারী। তাদের মাধ্যমেই তারা, তাদের ব্যবহার করে তারা এইভাবে চালাতে থাকবে দেশ?’
দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর সাধারণ মানুষ গরিব থেকে গরিব হবে, ধ্বংস হবে, মরবে। স্কুলে লেখাপড়া ঠিকমতো হয় না। স্কুলগুলোর অবস্থা দেখেন, একেক জায়গায় একেক রকম অবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থাও ভালো নয়। সেখানে সব দলীয়করণ, দলীয় লোক, তাদের যোগ্যতা-অযোগ্যতার কোনো বিচার নেই। এইভাবে চলছে। এইভাবে চলে দেশটাকে ধ্বংস করা হবে।’
শিক্ষিত বেকারদের চাকরি প্রসঙ্গে খালেদা বলেন, ‘আজকে যারা শিক্ষিত, আমাদের অনেক ছেলে বেকার। কোনো কাজ পায় না। কিন্তু এদের কাজ দেওয়াও তো সরকারের দায়িত্ব, দেশের দায়িত্ব। এরা লেখাপড়া শিখেছে, এরা কাজ করতে পারে। এদেরকে দায়িত্ব দিলেই এরা কাজ করতে পারবে। সে সুযোগও নেই।’