নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। স্থলভাগে চলে আসা মৌসুমী নিম্নচাপের কারণে দেশের ৪টি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
খারাপ আবহাওয়ায় নোয়াখালীতে ৪টি ট্রলার ডুবে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি জেলার নিম্নাঞ্চল।
ভারতের উত্তর অন্ধ্রপ্র্রদেশ-দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলের কাছে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সকালে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে। সকাল ৬টায় ভোলা ও তৎলগ্ন এলাকায় এটি মৌসুমী নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করছিলো। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ও দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো বাতাস বয়ে যায়। সাথে ছিলো ভারী বৃষ্টিপাত।
নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামে গত রাত থেকে মাঝারী থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে । মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস। বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগ্রাবাদ, হালিশহর, ছোটপুল, সিডিএ আবাসিক এলাকাসহ বেশকিছু স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
নোয়াখালীর হাতিয়ার সাথে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সবরকম নৌ-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। নদীর দুই পাড়ে আটকা পড়েছে কয়েকশ’ যাত্রী। হাতিয়ার ৪টি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় উপজেলার হরনী, চানন্দিসহ ৩০টি গ্রাম জোয়ারে ২ থেকে ৩ পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে আটকা পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
পটুয়াখালীতে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়ারাও বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ৫০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বৈরি আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ বেশ ক’টি জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা ।