এম কাউছার হোসেন,রামগঞ্জ:
রামগঞ্জ বাসস্টান্ড এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে জেলার সর্ববৃহত্তম জুয়ার আসর বসিয়ে বানিজ্য চালিয়ে আসছে প্রভাবশালী একটি মহল। ফলে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাস,চাদাবাজি, মারামারি,খুন ইত্যাদি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উক্ত স্থানে জুয়া খেলার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কলচমা মান্দারী বাড়ির কানা খোকা নামের একজন খুন হয়েছে। প্রকাশ্যে জুয়ার আসর বসলেও প্রশানের নীরব ভুমিকা সুশীল সমাজে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সূত্রে জানা যায়,রামগঞ্জ বাস টার্মিনালের দ্বিতীয় তলার কক্ষ এবং উত্তর পাশের বাউন্ডারী ওয়াল সংলগ্ন কয়েকটি টিনসেট রুম ও আশপাশের কয়েকটি ভবনে একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় প্রতিদিন রাত ১০টার পর ৫/৬ টি গ্র“পে জুয়ার আসর বসে। অভিযোগ রয়েছে প্রশাসন ম্যানেজ থাকায় উক্ত এলাকায় জুয়ার খেলার নিরাপদস্থান হওয়ায় প্রতিদিন পাশ্ববর্তী চাটখিল,হাজীগঞ্জ,রায়পুর,লক্ষ্মীপুর,শাহরাস্তি,সোনাইমুড়ি ও চৌহমুনী উপজেলা থেকে জুয়ারীরা দল বেঁধে জুয়া খেলতে আসে। টার্মিনাল এলাকার ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান,বিভিন্ন এলাকা থেকে জুয়ারীরা এখানে প্রতিদিন রাতে দল বেধে জুয়া খেলতে আসে । এ সমস্ত জুয়ারীদের মধ্যে অনেককে জুয়ার টাকা যোগাড় করতে গিয়ে স্ত্রীর ¯¦র্ণলংকার, ঘরের আসবাহপত্র ও মূল্যবান মালামাল বিক্রি করে দেওয়ারও একাধিক নজির রয়েছে। জুযারীরা তাদের স্ত্রী, ছেলে মেয়ে,মা-বাবার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এরা শুধু নিজেরা ধংস হচ্ছেনা পুরো পরিবারকে ধংস করে দিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর একজন ব্যবসায়ী জানান,৭/৮ দিন আগে কলসমা গ্রামের বিল্লাল হোসেন নামের একব্যক্তি জুয়া খেলার জন্য ঘরের ফ্রিজ বিক্রি করে দেয়। চাটখিলের এক জুয়ারী হোন্ডা নিয়ে জুয়া খেলতে এসে লস হলে হোন্ডা বিক্রি করে দেয়। এখানে প্রতিদিন হাটের মত জুয়ার আসর বসে। রামগঞ্জ থানা পুলিশ ও প্রশাসনের নামে প্রতিরাতে ২০হাজার টাকা করে নিচ্ছে ওই মহলটি।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোতা মিয়া জানান,এ ব্যাপারে আমার জানা নেই,তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।