অনলাইন ডেস্কঃ
চালের বাজার স্থিতিশীল করতে ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকলেও বাকিতে চাল আমদানি করতে ঋণপত্র খুলতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুবিধা পাবেন তারা। সোমবার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে এ পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থ জমা দিতে হয়। নগদ টাকা না থাকায় ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে পারছেন না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে হাওর এলাকার বন্যা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিবৃষ্টিসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চালের স্বাভাবিক সরবরাহ বিঘ্ন ঘটেছে। যাতে চালের বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। এ কারণে চাল আমদানিতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিনা মার্জিনে ঋণপত্র খোলার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে বাজারে চালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক থাকবে কি থাকবে না, এ নিয়ে অস্পষ্টতার কারণে চাল আমদানিতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে মার্জিন সুবিধা চালের বাজারে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
এদিকে, চাল আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক প্রত্যাহারে খাদ্যমন্ত্রীর পর সোমবার পরিকল্পনামন্ত্রীও সুপারিশ করেছেন। সরকারি-বেসরকারি খাতে চালের মজুদ সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে সরকারি গুদামে মাত্র এক লাখ ৯১ হাজার টন চাল রয়েছে।
বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরাও স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ লাখ টন কম চাল নিয়ে এ বছর শুরু করেছেন। এর মধ্যে আবার হাওর অঞ্চলে বন্যা চালের বাজার অস্থির করে তুলেছে।
দাম বেড়ে এখন প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৩ টাকা দরে। মানভেদে সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা দরে। তবে পর্যাপ্ত মজুদ না থাকায় চালের বাজারে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। বেশ কিছু দিন ধরে ওএমএস বন্ধ রয়েছে।