মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের
শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষ
নির্বিঘেœ বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে শিমুলিয়া ফেরি
ঘাটকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে বলে
জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম।
এ লক্ষে ঘাট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ৫
শতাধিক পুলিশ সদস্য। এ দিকে গত ৫-৬ দিন ধরে পণ্যবাহী
যানজটের কবলে পড়ে দুর্ভোগে পড়েছেন নৌ-রুটের
যাত্রীরা। শনিবার সকালে থেকে ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী
যানবাহনের চাপ আরো বেড়ে যাওয়াতে নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে পণ্যবাহী যানবাহন গুলো পৌঁছাতে না পারায়
বিপাকে পড়েছে ঘাট এলাকায় আটকে পড়া প্রায় ৬
শতাধিক পন্যবাহী যানবাহন চালক সহ অসংখ্য মানুষ। পরে
বেলা বাড়ার সাথে সাথে পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ আরো
বেড়ে গিয়ে দীর্ঘ সারি বাড়তে শুরু করেছে। এ বিষয়ে
বিআইডব্লিউটিসি এর ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আব্দুল
আলিম জনান,ইতিমধ্যে ঈদকে সামনে রেখে নতুন দুইটি
ফেরিসহ ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। আগে আড়াই ঘণ্টা
সময় লাগলেও এখন এক থেকে দেড় ঘণ্টা পারাপারে সময়
নিচ্ছে ফেরি গুলো। এ সময় ৬ শতাধিক যানবাহন ঘাটে
অবস্থান করতে দেখা গেছে। যাত্রীবাহী যানবাহন গুলোকে
আগে প্রাধান্য দেওয়া হয়। যার কারণে পণ্যবাহী যানবাহনের
সংখ্যা বেশি বলে জানান মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার
জায়েদুল আলম তিনি বলেন বুধবার বেলা ১২টার দিকে
শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে
শিমুলিয়া ঘাট এবং ঢাকা মাওয়া সড়কে যাত্রীদের
নির্বিঘেœ যাতায়াত করতে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত
হয়েছে। ঈদে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ৫০০ পুলিশ সদস্য
মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ঘাট এলাকায় সিসি
ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার বাসানো হয়েছে। পুলিশের
পাশাপাশি র্যাব,আনসার সদস্য, স্কাউট অবস্থান করবে।
সিবোর্ট, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাতায়াত না করে
সেদিকে লক্ষ রাখা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা
প্রশাসক সায়লা ফারজানা আরো জানান, ঈদের ৩দিন
আগে থেকে ঘাট এলাকায় ম্যাজিস্টেট থাকবে। ঘাট
এলাকায় কোন প্রকার অনিয়ম ঘটলে সাথে সাথে ব্যবস্থা
নেওয়া হবে আর সাধারণ মানুষের যেনো কোন দুর্ভোগে
না পরেন তাই পন্যবাহী সকল যানবাহন পারাপার বন্ধ করে রাখা
হয়েছে