মিরসরাই প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কাশিমপুরের নয়াপাড়া এলাকায় মাল্টি ফ্যাবস
লিমিটেড কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ১০ জনের মধ্যে ৩
জনের বাড়ি মিরসরাইয়ে। সোমবার (৩ জুলাই) বয়লার বিস্ফোরণে
অন্যদের সাথে তারাও মারা যায়। নিহতরা হলো উপজেলার জোরারগঞ্জ
থানার ৭ নম্বর কাটাছরা ইউনিয়নের পূর্ব বামনসুন্দর গ্রামের
মকসুদ আহম্মদের ছেলে আব্দুস সালাম (৪৭), একই ইউনিয়নের
পূর্ব কাটাছরা গ্রামের আবদুল্লাহ মুন্সী বাড়ির লুৎফুল হকের
ছেলে মনসুরুল হক (৪০), ৬ নম্বর ইছাখালী ইউনিয়নের নুরুল
মোস্তফা চৌধুরীর ছেলে আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী প্রকাশ আসাদ।
নিহত মনসুরুল হক দীর্ঘসময় ধরে বয়লার অপারেটর হিসেবে কাজ
করছিলেন। তার স্ত্রী, ২ ছেলেও ১ মেয়ে রয়েছে। বয়লার বিস্ফোরণে
পাশাপাশি দুইটি ইউনিয়নের ৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পুরো
এলাকায় শোকের মাতম চলছে। মাত্র তারা ঈদের ছুটি শেষ করে কাজে
যোগ দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে না ফেরার দেশে চলে যাবে কেউ
ভাবতে পারেনি।
কাটাছরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী
হুমায়ুন জানান, গাজীপুরের কাশিমপুর নয়াপাড়া এলাকায় ‘মাল্টি
ফ্যাবস লিমিটেড’ নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় বয়লার
বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে সোমবার সন্ধ্যায়। এতে কাটাছরা
ইউনিয়নের আব্দুস সালামও মনসুরুল হক নামে ২ জন মারা যাওয়ার
বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা জানান,
ঢাকার গাজীপুরে তৈরি পোশাক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে তার
ইউনিয়নে নুরুল মোস্তফা চৌধুরীর ছেলে আশরাফ উদ্দিন
চৌধুরী প্রকাশ আসাদ মারা গিয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত
হয়েছেন।
নিহত আশরাফ চৌধুরী প্রকাশ আসাদের ভাতিজা আলি আহসান
চৌধুরী পাশা জানান, আমার চাচা গাজিপুরের ওই কারখানায়
প্রায় ১০ বছর ধরে বয়লার অপারেটরের কাজ করতো। দুর্ঘটনার ২০
মিনিট পরেই এই খবর শুনে মিরসরাই থেকে আমাদের পরিবারের
লোকজনও আমার চাচী ঢাকা গিয়েছে। সেখানে আমার চাচার
পরনের শার্টের কলার দেখে আমার চাচি তার লাশ শনাক্ত করেন।
বিস্ফোরণে তার লাশ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিলো।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহম্মদ সুমন
জানান, তিনি গাজীপুরের ঘটনায় মিরসরাইয়ের কোন লোক মারা
গিয়েছেন কিনা জানেন না। তবে খোঁজ খবর নেবেন। যদি
নীতিমালা অনুসারে কোন সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাহলে তিনি
তা করবেন।