আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
পার্বতীপুরে জন্মদাতা মা কর্তৃক ৬ বছরের কন্যা সন্তনকে করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার ১নং বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের হরিরামপুর ভাটি পাড়া
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের হরিরামপুর ভাটি পাড়া
গ্রামের জাবেদ আলীর পুত্র এরশাদ আলীর সাথে মারেয়া এলাকার আব্দুল হামিদের কন্যা সাদিয়া
আক্তার আশা (২২) এর সাথে বিয়ে হয়। ৭জুলাই শুক্রবার আনুমানিক রাত ৩টায় নিজ শয়ন ঘরে
ঘাতক মা সাদিয়া আক্তার আশা, তার কন্যা সন্তান মায়মুনা (৬) কে ঘুমন্ত আস্থায় গলা টিপে
শ্বাস রোধ এবং ঘাড় মটকিয়ে হত্যা করে। পরে সে নিজে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্লেড দিয়ে
কেটে আতœহত্যার ব্যার্থ চেষ্ঠা করে। এর আগে নিহত মায়মুনা সেহরী খাওয়ার জন্য রাতে দাদীকে
ডাকতে বলে। ভোর ৪ টায় দাদী ডাকতে গেলে দরজার থেকে সাদিয়া আক্তার আশাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে
থাকতে দেখে। পরে আহত অবস্থায় তাকে পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ধেসঢ়;্র সকাল ৭টা
১৫ মিনিটে ভর্তি করেছেন বলে নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস।
পরে আশার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন চেক করে জানা যায় ঢাকায় থাকা আনসার ব্যাটালিয়নে
চাকুরীজীবি স্বামী এরশাদ আলীর কাছে মোবাইল ম্যাসেজে সে বলেছে যে, “আমি আমার
অভিশপ্ত জীবন থেকে তোমাকে মুক্তি দিলাম”।
আশার বাবা আব্দুল হামিদ জানান, আমি কিছু জানিনা হটাৎ সকালে খবর পেয়ে এখানে এসে
জানতে পারি মায়মুনা মারা গেছে এবং আশা হাসপাতালে ভর্তি। কোন বিষয়ে তাকে কিছু
বলেনি বলে জানান তিনি।
পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাক আহমেদ জানান, খবর পেয়ে মডেল
থানার পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। । পূর্বে স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহের
কারণে কয়েক দফা স্থানীয় শালিসও হয়েছে। এ চাঞ্চচল্যকর ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে শোকের
ছায়া নেমে আসে।