গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.
পরকীয়া প্রেমকে কেন্দ্র করে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় বিয়াঘাট ইউনিয়নের
যোগেন্দ্রনগর ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার বিবাহিত মজনু প্রাং একই এলাকার সেলিমের স্ত্রী
তিন সন্তানের জননী মর্শিদাকে (২৫) নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনার পর থেকে
এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গেলে স্বামী সেলিম ও এলাকাবাসী বলেন, সোমবার গভীর রাতে মর্শিদার তিন
সন্তান জীবন (১৫), জনি (১২) ও মেয়ে সুরাইয়া (৫) কে রেখে মজনু মেম্বারের সাথে
পালিয়ে গেছে। প্রায় ছয় মাস ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসার এক পর্যায়ে
স্বামীর অনুপোস্থিতিতে স্ত্রী মর্শিদা তার প্রেমিক মজনুকে নিজ শ্বয়ন ঘরে ডেকে
আনে। টের পেয়ে স্বামী সেলিম মোল্লা তাদেরকে ধরার চেষ্টা করলেও মজনুর সহযোগি
মুঞ্জিল তাদের পালাতে সাহায্য করে। এ সময় সেলিমের ঘরে থাকা এক লাখ টাকা, তিন ভড়ি
স্বর্ণসহ মোবাইল ফোনটি মজনু ও মর্শিদা নিয়ে যায়। এলাকার কোথাও তাদের খুঁজে
পাওয়া যাচ্ছেনা। তবে কাজী মো. বুলবুল হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগে মজনু মেম্বার
তার আগের স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য আমার কাছে এসেছিল।
এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, ঘটনাটি সত্য কিন্তু এলাকার
বাইরে থাকায় ঘটনাটি মিমাংসা করতে পারিনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পালিয়ে
যাওয়া মর্শিদার স্বামী সেলিম থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
গুরুদাসপুর থানার ওসি দিলিপ কুমার দাস বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা এবং
অভিযোগ না আসা পর্যন্ত কিছু বলতেও পারছি না।