বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা শুধুমাত্র সাধারণ দণ্ডবিধি : সংসদে তথ্যমন্ত্রী

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭
  • ১৮৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ

তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৬ ও ৫৭ ধারা শুধুমাত্র সাংবাদিকদের জন্য করা হয়নি। এটা সাধারণ দণ্ডবিধি। এটা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য, নারীর নিরাপত্তা, শিশুদের নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে। এটা জামিন অযোগ্য অপরাধ তবে উচ্চ আদলতে গেলে জামিন পাওয়া যায়। এই আইন সংবিধানে সঙ্গে সাংঘর্ষিক এটা কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। এটা মানবাধিকার বিরোধী বলেও আমি মনে করি না।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুল রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

হাসানুল হক ইনু আরো বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ওই দুই ধারা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে খড়গ আরোপের জন্য করা হয়নি। ডিজিটাইজেশনের ফলে গণমাধ্যমের বিশাল প্রসার ঘটেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ডিজিটাল স্পেস তৈরি হয়েছে। এর ফলে অনেকে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, চরিত্র হনন, রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড, ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির মত অপরাধ করে। তখনই কেবল এই আইনের প্রয়োগ হয়। এটা শুধু সাংবাদিকদের জন্য করা হয়েছে, একথাটি ঠিক নয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ অন লাইনে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক, টুইটারে চরিত্র হনন করে পোস্ট দিলে এই আইনের আওতায় আসবে। এই আইন নিয়ে ভুল ব্যাখা করা হচ্ছে। এই আইনে একটা পর্যায়ে জামিনযোগ্য। নিম্ন আদালতে জামিন পায় না, উচ্চ আদালতে গেলে জামিন পাওয়া যায়। এরকম ৩০ এর অধিকে আইন আছে জামিন অযোগ্য।

মন্ত্রী বলেন, দেশে ১৮শ’র অধিক অনলাইন পত্রিকা আছে। পত্রিকা, টেলিভিশন, সাপ্তাহিক, পাক্ষিকসহ দেশে কতগুলো গণমাধ্যম রয়েছে, আর কত হাজার সাংবাদিক কাজ করছে তারমধ্যে খুবই নগণ্য দুই একজন ৫৭ গ্রেপ্তার হয়েছে। আদালতে যাওয়ার পর নিম্ন আদালতে জামিন না দিলেও উচ্চ আদালত জামিন দেয়। তাছাড়া প্রতিটি বিষয় আমরা দেখছি।

তথ্য মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করে। আমাদের আইনজীবীরা দেখেন কোন মিথ্যা অভিযোগে কেউ গ্রেপ্তার হলে তাকে জামিন দেওয়া হয়।

তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ৫৭ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কেউ তা প্রমাণ করতে পারেনি। তারপরেও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক নতুন একটি আইনের খসড়া করা হয়েছে। আমাদের আইনমন্ত্রী দেখবেন সেখানে এই ৫৭ ধারা বহাল রাখার দরকার আছে কি না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451