সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ফতেহপুর ইউনিয়নের ৪জন
ইউপি সদস্য বিভিন্ন কৌশলে আত্যসাৎ করা চালের মূল্য ও নগদ
টাকা আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান ও তাদের বিরোদ্ধে
সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক। জানাযায়,উপজেলায় ফতেহপুর
ইউনিয়নের ফসলহারা ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারী বরাদ্ধ ভিজিএফের
কার্ডের বিনিময়ে টাকা,নিজের স্ত্রী,সন্তান,মা,বাবার নামে
ভিজিএফের কার্ড,একেই ব্যক্তির নামে দু-বার কার্ড,মৃত ব্যক্তির ও
নাবালক ছেলের নাম তালিকাভুক্ত করা,ফেয়ার প্রাইজ বিতরনে অনিয়ম ও
দূর্নীতির অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগের ভিত্তিত্বে তদন্ত
কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তদন্ত
প্রতিবেদন দাখিল করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তদন্ত কমিটি। এরপর গত
১১জুলাই জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয় সুনামগঞ্জ ত্রান ও পূর্নবাসন
শাখা থেকে স্মারক নং ৫১,০১,৯০০০,০০০,০১,০২৪,১৬-৪৫৪- প্রেরিত
পত্রের মাধ্যমে আতœসাৎ করা সরকারী বরাদ্ধ আদায় করে জমা ও
অভিযোক্ত ইউপি সদস্যদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার
নির্দেশ দিয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার
কার্য্যালয়ে ডাক যোগে চিঠি পৌছে দেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জ
জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম নির্দেশিত চিঠি প্রাপ্তি
স্বীকার করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা মানিক মিয়া
জানান,উপজেলা ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪জন ইউপি সদস্য ১নং
ওয়াডের নেছার আহমদ,৪নং ওয়াডের আব্দুল হেকিম,৬নং ওয়াডের
সদস্যা আশ্বিনী বর্মন ও ৯নং ওয়াডের বিজর কর বিভিন্ন পরিমানে
টাকা আতœৎসাধের মোট ১লাখ ৭২হাজার ৪টাকা পরিমান অর্থ
আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ এবং সেই
সাথে অভিযোক্ত ইউপি সদস্যদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা জানান,আমার কাছে
এখনও কোন কাজ আসে নি আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।