নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
সুন্দরগঞ্জে বন্যার পানি হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে তীব্র নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
৪/৫ দিনের ব্যবধানে ৪০০ পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভেসে যাচ্ছে হরিপুর আশ্রয়ণ
প্রকল্প।
৫/৬ দিন থেকে সুন্দরগঞ্জে তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি হ্রাস পেতে শুরু করেছে।
পানি কমলেও বেড়েছে নদী ভাঙ্গন। উপজেলার হরিপুর, কাপাসিয়া, চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ী,
বেলকায় তীব্র নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো সীমাহীন দূর্ভোগে
দিনাতিপাত করছে। এপর্যন্ত ৪০০ পরিবারের বসতভিটা, আবাদী জমি নদীগর্ভে বিলীন
হয়েছে। হরিপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার আশ্রয়ণ প্রকল্প ভেসে যাচ্ছে নদীগর্ভে। চরাঞ্চলের
বন্যাদূর্গ মানুষের আশ্রয় নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ২০১০ সালে একতা এনজিও প্রায়
কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলা বাজারে তিস্তা নদীর চরে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নির্মাণ করে।
নির্মাণের পর থেকে বন্যা দূর্গতরা এর সুফল পেলেও গত কয়েকদিনের ভাঙ্গনে আশ্রয়ণ
প্রকল্পটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল
ইসলাম সরকার জিমি বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পটি ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য কার্যকরী
ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্রমান্বয়ে বিলীন যাচ্ছে। এব্যাপারে উপজেলার নির্বাহী অফিসার
এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পটি এনজিও কর্তৃক নির্মিত হওয়ায়
করণীয় কিছু নেই। তিনি আরও জানান, ৪/৫ দিনের ব্যবধানে বেলকা, হরিপুর,
কাপাসিয়া, চন্ডিপুর ও কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ৩৯৫টি পরিবার নদীগর্ভে
বিলীন হয়েছে।