নীলফামারী প্রতিনিধি :
তিস্তায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থরা ত্রান চায় না বাধ চায়, সরকার বাধ তৈরি করার ব্যবস্থা করবেন।
ডিমলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থরা সরকারের কাছে যা চাবেন তারও বেশি
পাবেন। শেখ হাসিনার সরকারের গোডাউন ভর্তি আছে, যখন দরকার হবে তখনই ত্রান
দেয়া হবে। বন্যা পরবর্তী সময়ে ২ মাস ত্রান বিতরন করবে সরকার। মঙ্গলবার দুপুরে
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থের মাঝে ত্রান বিতরন করার সময় ডালিয়া
আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথির বক্তবে বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও
ত্রান মন্ত্রানালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। তিনি আরো বলেন
শেখ হাসিনার সরকারের কাছে কিছু চাইতে হয় না। কিছু না চাওয়ার আগে সরকার
ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়ায়। তিনি দুপুরে তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ২হাজার ৭শ ২৫জনকে
১০ কেজি চাল, নগদ ২লক্ষ টাকা ও ১৫শ পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরনের উদ্বোধন করেন।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী-১
আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রান মন্ত্রানালয়ের
সচিব শাহ কামাল। এতে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী নীলফামারী জেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জেলা আ”লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহম্মেদ, সাধারন
সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক,পুলিশ সুপার জাকীর হোসেন খান,ডিমলা উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা-রেজাউল করিম, খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান
সরকার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সজল কুমার ভৌমিক বর্তমান সাধারন সম্পাদক
মাসুদ সরকার প্রমুখ। মন্ত্রী তিস্তার বাধ নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেচ্ছাশ্রমে
মাটির বাধটির সংস্কারের জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল ও তিস্তা নদীতে নৌকা বাবদ ৫লক্ষ
টাকা বরাদ্দের ঘোষনা করেন।
এ দিকে তিস্তার পানি গত বুধবার থেকে বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার
বিকাল ৩টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টি মিটার নিচে
প্রবাহিত হচ্ছে।