বাসস,
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, উড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে মধ্যপ্রদেশ এলাকায় লঘুচাপে পরিণত হয়ে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ এবং লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এ ছাড়া আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।
আগামী ৭২ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। সারা দেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১৭৬ মিলিমিটার। এ ছাড়া সন্দ্বীপে ১৫৪ মিলিমিটার, ফেনীতে ১৪৯, কুতুবদিয়ায় ১১৮, কক্সবাজারে ১০৫ ও টেকনাফে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ঢাকায় বাতাসের গতিবেগ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার এবং তা অস্থায়ীভাবে দমকায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার।