অনলাইন ডেস্ক,
উত্তরাঞ্চলে পানি কমতে শুরু করলেও মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর ও ভোলাসহ ৭ জেলা নতুনভাবে প্লাবিত হতে পারে। বললেন ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, নতুন করে প্লাবিত এলাকায় বন্যা মোকাবেলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। এ পরিস্থিতিতে করণীয় জানিয়ে জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, এরইমধ্যে বন্যা কবলিত জেলায় খাদ্যসমাগ্রী পাঠানো হয়েছে।
যেখান যে পরিমাণ চাল দরকার সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক চাইলেই তা সরবরাহ করা হবে। তারপরও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিস্থিতি দেখভাল করছেন।যদি বন্যা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায় তাহলে আমরাও ওই সব এলাকায় ছুটে যাবো। জনগণকে সেবা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।বন্যায় কত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন এ সংখ্যা বাড়ছে। তাই এখনো সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি।
এটি ৩ লাখও হতে পারে আবার ১২ থেকে ১৫ লাখও হতে পারে।মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বানভাসি মানুষের পাশে থেকে ত্রাণ বিতরণ করেছি। এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ ও ৫০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দিয়েছি।
তিনি বলেন, বন্যা কবলিত প্রত্যেক জেলায় পানি বিশুদ্ধিকরণ ভ্রাম্যমাণ গাড়ি পাঠিয়েছি। এছাড়াও ৩ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন ও ৯ লাখ টাকা দিয়েছি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য।মন্ত্রী বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষের খাবার, চিকিৎসা ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ইজিপিপি প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্তদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।