রুবেল মাদবর
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জ সদর পঞ্চসার
ইউনিয়ন এলাকাতে শতশত মানুষ তিন দিনের বৃষ্টির পানী জমে কৃত্রিম বন্যায় ভাসছে। ভোক্তভোগীরা জানান, একের পর এক অভিযোগ করার পরও পয়োনিষ্কাষণের কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। কেন যে এমন হচ্ছে আমাদের জ্ঞানে বলতে পারি না। এমন কথা বলেই অত্র এলাকার জনসাধারণ ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব কথা বল্লেন। এলাকার ৬০ উর্ধ্ব একজন বৃদ্ধ বলেন বৃষ্টি তো এ বছরই নতুন না। পৃথিবী সৃষ্টি লগ্নেই বৃষ্টির আলামত। এতো শিক্ষিত জনগন কেনো বুঝেন না, পানি সরানোর জায়গা না করে দিলে ফলাফল বর্তমান অবস্থার মতো হবে। এখানে কোন নালা নাইতাই এই বৃষ্টির পানি বন্যা আকারে রুপ ধারণ করে আমাদের জনজীবন দুর্বিসহকরে তুলেছে। বুধবার সরেজমিন ঘুরে এসকল চিত্র দেখা যায়।সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় খালের সব কটি মুখ বন্ধ থাকায় এই বৃষ্টির পানী জমে বন্যার আকার ধারণ করেছে। স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র ছাত্রী পরছে চরম বেকায়দায়। কার কাছে যাবে? কে এর সঠিক সমাধান দিবে? সমাজ যেনো এক নিরব ব্যাধিতে ভোগছে? এমন হাজারো অভিযোগ করে মসাজ ব্যবস্থার প্রতি ঘৃর্ণা চোখে দেখছেন এলাকার ভোক্তভোগী সাধারণ জনগন।পঞ্চসার বাগবাড়ীর মৃত্যু জুলহাস মিয়ার ছেলে মোঃ সেকান্দর (৪৫) বলেন আগেও বৃষ্টি ছিলো এমনতো দেখিনি। এটা কি করে হয়? কেউ কি নাই দেখবাল করার? আমার গরু খামার ঘর বাড়ী হাটু পানিতে তলিয়ে রয়েছে। নদীর পানীর প্রয়োজন হয় নাই। তবে কি এর জন্য আমরাই দায়ী?মুক্তারপুর, মিরেরশ্বরাই গ্রামের মোঃ সিরাজ (৩৮) জানান, তার বাড়ীঘর তোতিনফিট পানীতে ডুবে আছে। পানি পাছ হওয়ার কোন ব্যাবস্থা নাই, বড় বড় ড্রেজার দিয়ে ডোবা নালা ভরে এলাকার পয়োনিস্কাষনের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যার ফলে আজকে আমাদের এলাকার এই পরিনতি। তিনি আরো বলেন, এলাকার চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে একাধিক বার বলার পরও এর সঠিক সমাধান করা হয় নাই। আমাদের এলাকায় অনেকেরই এই করুন অবস্থার শিকার। সিরাজ বলেন, নদীথেকে প্রায় সাত ফিট উপরে আমাদের বাড়ী ঘর, নালাগুলো ঠিকভাবে পরিস্কার রাখলেই পানি উপচে পড়ে না। আমাদের জীবন যাপনের মান নষ্ট হয় না।শিল্পি জাকির আহমেদ বলেন অ-পরিকল্পিতভাবে ডোবা নালা খাল ভরাটই এর মুল কারণ। প্রশাসন যদি কিছু না করে তবে আমরা কি করবো? যেখানে একাধিক বার সরকারী খাল, নালা, ডোবা, ভরাটের বিষয় প্রশাসনের কাছে নালিশ করে এর কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। পেপার পত্রিকা তো প্রশাসন দেখেন, পড়েন। জনগন যদি এক হয়ে নামে তবে এর পরিনাম হবে খুব কঠিন, তখন তো কার কি ভাঙ্গা যাবে আপনারাই দেখবেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।এদিকে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পাচঘড়িয়া কান্দি, মাঠপাড়া একাধিক ঘরে পানিতে সয়লাব, এই পানি বৃষ্টির আটকে থাকা পানি এখন কঠিন আকার ধারণ করেছে। খালের প্রায় ৭/৮ ফিট উপরে থাকার পরও পানিতে আটকা আছে অনেকেই। এলাকাবাসীর অভিমত পয়োনিস্কাষনের ব্যাবস্থা না করে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে জমি, খাল, নালা, পুকুর ভরাট বন্ধ করাটা এখন খুবই জরুরী। পাচঘড়িয়া কান্দির পানির চিত্র না দেখলে বুঝা যাবে না আসলে কি হচ্ছে জলাব্দবতায়।কোর্টগাও এলাকায় তো বারো মাসই জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকতে দেখা যায়। সে ব্যাপারোও কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন আবির কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও কোন ফল হয়নি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত এই এলাকার দুর্যোগ বন্ধ করা সম্ভব হবে না এমনটি বলেছেন এলাকাবাসী।এ বিষয় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান বলেন যেখানে ২০ বছর ধরে সরকারী খাল দখল করে খালের পানী চলাচলের পথ বন্ধ করে রেখেছে সেখানে হঠাৎ করে তার প্রতিকার স্বল্প সময়ে সম্ভব না। মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা মহোদয়ের প্রজেক্টের আওতায় খাল উদ্ধার করে “সবুজে সাজাই মুন্সীগঞ্জ” প্রকল্পোর কাজ চলছে, তার বাস্থবায়নেই জলাবদ্ধতার নিরসন হবে আমার বিশ্বাস