হেলাল শেখ ,সাভার আশুলিয়া থেকে ঃ
ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া-ভাদাইল- বাগবাড়ী এলাকায় অবস্থিত রূপায়ন আবাসন-১ এর সীমানার
ভিতরে বিভিন্ন সন্ত্রাসী ছিনতাইকারীরা আপরাধ মুলক কর্মকান্ড করছে এবং মাদকের আড্ডা
হওয়ায়, এলাকার সাধারন মানুষ ও শিল্প কারখানার শ্রমিকরা অতিষ্ঠ হয়ে পরেছেন বলে অভিযোগ
উঠেছে।
২৯ জুলাই সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রূপায়ন এর সীমানার আশপাশের বাড়ী গুলোতে যে
সকল লোকজন বসবাস করেন, সন্ধ্যা হলেই সন্ত্রাসী ও মাদক সেবনকারীদের ভয়ে তারা আতংকিত
হয়ে পড়েন। অনেকেই বলেন, সন্ত্রাসী মাদক সেবনকারীরা প্রতি মাসের ৫ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত
রূপায়ন এর ভিতরে আনাগুনা করতে বেশী দেখা যায়। তারা সাধারণ নারী-পুরুষদের ও গার্মেন্ট
শ্রমিকদের টার্গেট করে তাদের কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও দামী
জিনিসপত্র ছিনতাই করে। এসব সন্ত্রাসীদের ভয়ে স্থানীয় লোকজনও পতিবাদ করতে সাহস করেন
না। এরকম একটি ঘটনা উল্লেখ করা হচ্ছেঃ
গত ২৭ জুলাই রাত ৯টার দিকে রূপায়নের পূর্ব ১ নং গেটের পাশে কবরস্থান পাশে এনায়েত
মোল্লার বাড়ি থেকে আশুলিয়া থানা পুলিশ মাফুজা (২৬), এক নারী লাশ উদ্ধার করেছেন। স্থানীয়রা
জানান, মাফুজা এনভয় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন, তার স্বামী বাবলু একজন মাদক
সেবনকারী। বাবলু রূপায়নের ভিতরে ১০-১২জন মাদক সেবনকারীর সঙ্গে মাদক সেবন করত বলে
স্থানীয়রা জানান।
শনিবার ২৯ জুলাই নিহত মাফুজার ভাড়া বাড়ির মালিক এনায়েত মোল্লার বড় ছেলে রুবেল জানান,
৫ মাস আগে মাফুজার দুলা ভাই শহিদুল রুম ভাড়া নিয়ে দেন মাফুজাকে। মাদকের সাথে জড়িত
থাকার কারণে বাবলুকে ছাড়াই মাফুজা একা বসবাস করতেন। পরে তার পরিবারের লোকজন তাদের
দুইজনকে এক বাসায় থাকার জন্য বলেন, এরপর গত ২/০৭/ মাফুজার স্বামী তার স্ত্রীর কাছে থাকতে
শুরু করে। বাবলু মাদকের টাকা জোগার করতে না পেরে অবশেষে মাফুজার কাছে টাকা চাইলে-সে
টাকা দিতে না পারায় তাদের মধ্যে জগড়া সৃষ্টি হয়, এক পর্যায়ে কারখানার কাটার দিয়ে
মাফুজার গলায় আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায় মাদক সেবনকারী বাবুল।
উক্ত বিষয়ে নাজমুল নামের এক ব্যক্তি বলেন, রূপায়নের ভিতরে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন সন্ত্রাসীরা শিল্প
কারখানার শ্রমিকদের মোবাইল, নগত টাকা ও দামি জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
জড়িতরা বেশিরভাগ সময় মাদক ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। এদের সাথে এলাকার প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি
জড়িত থাকার কারণে কেউ সাহস পায় না প্রতিবাদ করার। আর অনেকেই বলেন, রূপায়নের সীমানার
সব সাইডে যদি ওয়াল বা দেয়াল করা হয়, তাহলে সন্ত্রাসীরা এবং মাদকের আড্ডা দিতে পারত না।
আশুলিয়া থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই এক দিন পর পর লাশ উদ্ধার করছেন। তাই “ক্রাইম
জোন এলাকা হিসেবে পরিণত হয়েছে আশুলিয়া” জানা গেছে, অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, মাদকের
সঙ্গে জড়িত কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। তারা আটক হলেও আদালত থেকে
জামিনে এসেই আবারও আগের অপরাধ করছে বলে স্থানীয়রা জানান।
উক্ত ব্যাপারে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, অপরাধী সে যেই
হোক না কেন, তাকে ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।