অনলাইন ডেস্ক ,
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বৈঠকের অভিযোগ নাকচ করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করতে হয় না বিএনপিকে। জনগণই ক্ষমতায় নিয়ে আসবে তাদের। অতীতে ক্ষমতার জন্য আওয়ামী লীগই ষড়যন্ত্র করেছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা শিল্পাঞ্চল মাঠে দলের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্বাচন ও আন্দোলনের জন্য দলকে প্রস্তুত করতেই এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি। গুম খুন আর নির্যাতনের মুখেও বিএনপি দুর্বল হয়নি দাবি করে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন। নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন দেন। কার কত জনপ্রিয়তা, মানুষ কার পক্ষে আছে সেখানেই প্রমাণিত হবে। সে নির্বাচনে যদি আমরা পরাজিত হই, তাহলে আমরা মাথা নত করে সেই পরাজয় স্বীকার করব ও বিরোধী দলে যাব। কিন্তু আপনারা সেটা দেবেন না। কারণ আপনারা জানেন ওই নির্বাচনে গেলে আপনাদের কারো জামানত থাকবে না।’
‘তারা জানে যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, সেখানে বিএনপি যদি অংশগ্রহণ করে, তাহলে সেখানে তারা কোনোমতে জয়লাভ করতে পারবে না। তাই তারা বলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? ওই সংবিধান তো আপনারা তৈরি করেছেন। অনির্বাচিত ব্যক্তিদের দিয়ে। যে নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।’
লন্ডনে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এমন অভিযোগের জবাবও দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম জিয়ার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কারো সাথে মিটিং করার দরকার হয় না। কারো সাথে তাঁকে ষড়যন্ত্র করতে হয় না। এই দেশের জনগণ তাঁর সঙ্গে আছে। এই দেশের জনগণ তাঁকে ক্ষমতায় নিয়ে যাবে। আর আপনারা তাঁকে বলেন, তিনি ষড়যন্ত্র করছেন। ষড়যন্ত্র করছেন আপনারা, প্রতি মুহূর্তে ষড়যন্ত্র করছেন।’
সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘বারবার চেষ্টা করা হয়েছে বিএনপি ধ্বংস করবার, বিএনপিকে ভেঙে ফেলবার। দীর্ঘ দশ বছর স্টিম রোলার চালিয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়েছে, হয়রানি করেছে। আমাদের সংসদ সদস্যসহ নেতাকর্মীদের গুম করে দিয়েছে। তারপরও বিএনপির একটি লোকও তারা সরাতে পারেনি।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সহসভাপতি বদরুজ্জামান খসরু, সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আলহাজ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল।