বিশেষ প্রতিনিধি : বুধবার ২ আগষ্ট রাজধানীর পল্লবী থানাধীন বিহারী ক্যাম্প এলাকায় দৈনিক
তৃতীয় মাত্রার সাংবাদিক মো. এজাজ আহম্মেদের উপর সন্ত্রাসী বিহারী মোস্তাক ও তার ছেলে মিস্টার
এর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার প্রতিবাদ ও পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকিরের অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
জানা যায় গত ৩০ জুলাই রবিবার বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটের সময় মিরপুর ১২নং সেকশনের বিহারী ক্যাম্প
ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশন বিহারীদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলা কালীন
সাংবাদিক দৈনিক তৃতীয় মাত্রার সাংবাদিক এজাজ আহম্মেদ ওই ঘটনা স্থলে তার পেশাগত দায়িত্ব
পালন করতে গেলে বিহারী নেতা মোস্তাক ও তার ছেলে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মিস্টার এর সন্ত্রাসী
বাহিনী ওই সাংবাদিকের উপর হামলা চালায় এবং গুরুত্বর আহত হন। তখন স্থানীয় কিছু লোকজন
সাংবাদিক এজাজ আহম্মেদকে উদ্ধার করে ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। ডাক্তার জানান
এজাজ আহম্মেদ সাহেবের ডান চোখের নিচে কেটে গেছে সেখানে দুইটা সেলাই লাগবে, বুকে
অনেক আঘাত লেগেছে তাছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ও নীলাফুলা রয়েছে। এর ফলে পল্লবী থানায়
মামলা করতে গেলে ওসি ওই সন্ত্রাসীদের সাথে আত্বাত করে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান।
সাংবাদিকরা থানায় এসে ওসি দাদন ফকিরকে বলতে থাকে কেন মামলা নিবেন না তখন তিনি উপায়ন্তর
না পেয়ে বলে শর্ত মোতাবেক আমি মামলা নেবো। তখন তিনি শর্ত দেন মোস্তাক ও তার ছেলে মিস্টারের
নাম দিতে পারবেন না এবং এদের নাম এজাহার থেকে বাদ দিতে হবে এই শর্ত হলে আমি মামলা নেবো।
ওসি নিজে বাদীর লিখিত এজাহারের কাগজ বাতিল করে নিজের মনগড়া আসমীদের নাম দিয়ে একটা
মামলা নেন। ওসি দাদন ফকির ওই রাত্রে ওই সন্ত্রাসী বিহারীদের ডেকে এনে তাদের বাদী করে সাংবাদিকদের
বিরুদ্ধে একটি মামলা নেন। এর প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে নগরীর মিরপুর ১০নং গোল চত্বরে এ
মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনায় বাকি দোষীদের আইনের
আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির পাশাপাশি পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকিরের অপসারনের দাবি
জানিয়েছেন। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। মিরপুর ১০নং
থেকে মানব বন্ধনটি মিরপুর মডেল থানার সামনে দিয়ে মিরপুর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারের
কার্যালয়ে গিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনারের বরাবর একটি স্বারক লিপি পেশ করেন। দোষীদের আইনের আওতা
না আনলে মিরপুরের সাংবাদিকরা লাগাতার আন্দলনের হুমকী প্রদান করেন।
এ কর্মসূচীর প্রধান সমন্বয়ক দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এম জাকির হোসেন
বলেন বলেন, এর আগেও মিরপুরে সাংবাদিকদের ওপর অনেক নির্যাতন হয়েছে। সেগুলোর বিচার হয়নি। সব
সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে সাংবাদিক
নির্যাতন করলে কিছুই হয়না। যদি এমনি হয়, তাহলে আমরা আমাদের কলম ক্যামেরা রেখে এভাবে রাস্তায়