অনলাইন ডেস্ক ,
রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বেধড়ক পিটুনির শিকার হয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। পিটুনিতে তার ডান পা ভেঙে গেছে।
শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আলী ইমাম রাকিব নামের ওই শিক্ষার্থী তার বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করলে বখাটেরা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে ডান পা ভেঙে দেয়। পরে তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। তার পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। উত্ত্যক্তের শিকার তরুণী একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় পুলিশের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে রাকিবের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ফাহিমকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
রাকিবের মা মানবাধিকার কর্মী শারমীন জামান চৌধুরী জানান, তার ছেলে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পরিবারের সঙ্গে তিনি শেওড়াপাড়ার বাসায় থাকেন। বাসায় দুপুরে তার খালার পরিবারকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। দুপুর দেড়টার দিকে খালাতো বোন বাসার কাছাকাছি এসে ফোন করলে রাকিব তাকে এগিয়ে আনতে বাসা থেকে বের হন। বাসার সামনের রাস্তায় গিয়ে দেখেন, বোনকে উত্ত্যক্ত করছে স্থানীয় বখাটে ফাহিমসহ দুজন। রাকিব দ্রুত তাদের বাধা দিলে তারা চলে যায়।
তিনি আরও জানান, এরপর রাকিব বোনকে বাসার লিফটে তুলে দিয়ে কাছের একটি দোকানে কোমল পানীয় কিনতে যান। সেখানে ফাহিমসহ ক’জন অবস্থান করছিল। তারা আচমকাই রাকিবের ওপর হামলা চালায়। রড দিয়ে তাকে নির্মমভাবে পেটানো হয়। এতে তার ডান পা ভেঙে যায়। এ ছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসাধীন রাকিব সাংবাদিকদের জানান, প্রথম দফায় বাকবিতণ্ডা হওয়ার পর তিনি দোকানে কোমল পানীয় কিনতে গেলে তাকে হুমকি-ধামকি দেয় দুই বখাটে। পরে তারা রড দিয়ে পেটায়। তাদের সঙ্গে আরও ক’জন ছেলে ছিল।
মিরপুর থানা পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ফাহিমকে গ্রেফতারে পুলিশের তিনটি দল কাজ শুরু করেছে। শিগগিরই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।