সাইফুল ইসলাম তালুকদার,হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জে ছাত্রলীগের জেলা কমিটিতে পদ বঞ্চিত হওয়ার জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
হয়েছে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় দু’দফায় তাদের মাঝে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এসময় উভয়পক্ষ একে অপরের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।দলীয়
সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। ২১১ সদস্য বিশিষ্ট এ
কমিটি গত ৩০ জুলাই অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটিতে কয়েকজন নেতাকর্মী পদ বঞ্চিত হয়েছেন।শুক্রবার বাদ
জুমা তাদের একজন মো. মহসিন তিনকোণা পুকুর পাড় এলকায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ডা. ইশতিয়াক রাজ
চৌধুরী রাজকে তাকে কমিটিতে রাখা হয়নি কেন জিজ্ঞেস করেন। তাকে কমিটিতে রাখার কোনো সুযোগ ছিল না
বলে জানান রাজ। এ নিয়ে তাদের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়।এর জের ধরে উভয়ের পক্ষ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা
বিভক্ত হয়ে পড়েন। এর মাঝে মহসিনের পক্ষের নেতাকর্মীদের পক্ষে অবস্থান নেন জেলা ছাত্রলীগ সহ-
সভাপতি মো. সাইদুর রহমান।উভয়পক্ষ সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায়
জড়িয়ে পড়েন। দ্বিতীয় দফায় তারা ফের তিনকোণা পুকুর পাড় এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হন। এ
সময় একপক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। উভয়পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে শহরে আতংক ছড়িয়ে
পড়ে।জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ডা. ইশতিয়াক রাজ চৌধুরী রাজ জানান, মো. মহসিন নামে এক কর্মীকে কমিটিতে
না রাখায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন।তিনি বলেন, আজ (শুক্রবার) দুপুরে তিনি আমার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হন। এর জের ধরেই মূলত ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা
ঘটেছে।এ বিষয়ে একপক্ষের নেতৃত্বে থাকা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. সাইদুর রহমান জানান, তিনি
বিষয়টি জেনেছেন। কিন্তু কোন পক্ষেই তার অবস্থান ছিল না।তিনি বলেন, মহসিন সাবেক জেলা কমিটিতে
সদস্য ছিলেন। কিন্তু তাকে বর্তমান কমিটিতে কোন পদেই রাখা হয়নি। এ নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সভাপতির
সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়েছেন। এর জের ধরেই উভয়পক্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়েছেন।তার বিরুদ্ধে
অপরপক্ষের স্লোগানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহসিন আমার সঙ্গে রাজনীতি করছেন। সে হিসেবে
তারা ধরেই নিতে পারে যে আমি হয়তো তার পক্ষে আছি।