বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক : ঈদ-উল-আযহা আর বেশি দূরে নয়। আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। নাগরিক জীবনের নিরাপত্তা বিধান, ঈদের অনাবিল আনন্দ এবং শান্তি অটুট রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আপনার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছে। সেই সাথে মার্কেট/শপিংমল নিরাপত্তায় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছে।
নিরাপত্তা পরামর্শসমূহঃ
০১. ঈদের পূর্বে শেষ কেনাকাটার দিনে মার্কেট/শপিং মলে কোন নগদ অর্থ রাখবেন না।
০২. মার্কেট/শপিংমল ত্যাগের পূর্বে অবশ্যই নিশ্চিত হোন যে, আপনার প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে তালাবদ্ধ করা হয়েছে।
০৩. স্বর্ণের দোকান, ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান হলে সিসিটিভি এবং এলার্ম স্কিম ব্যবহার করুন এবং নিশ্চিত হোন তা সক্রিয় রয়েছে।
০৪. ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন এবং টাকা বহনে সর্বদা সতর্ক থাকুন। বড় অংকের অর্থ বহনে প্রাইভেট কার কিংবা মাইক্রোবাস ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিন।
০৫. মার্কেট/শপিং মলে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীর বিশ্বস্ততা সম্পর্কে নিশ্চিত হোন এবং তাদের ঠিকানাসহ ছবি ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহে রাখুন।
০৬. মার্কেট/শপিং মলের সকল চাবি নিজের কাছে রাখুন।
০৭. গাড়ি পার্কিয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান ব্যবহার করুন।
০৮. গাড়ি পার্কিয়ের সু-ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা রয়েছে এ ধরণের মার্কেট/বিপণী-বিতান হতে কেনাকাটা করা উত্তম।
০৯. মার্কেট কিংবা বিপণী-বিতানে পার্কিং এর সুব্যবস্থা না থাকলে গাড়ি নিকটতম পে-পার্কিং এ রাখুন অথবা গাড়িতে সর্বদা ড্রাইভারকে অবস্থান করার পরামর্শ দিন।
১০. গাড়িতে স্টিয়ারিং লক ব্যবহার করুন।
১১. গাড়ি পার্কিং শেষে গাড়ির দরজা লক করেছেন কিনা তা যাচাই করে নিন। মোটরসাইকেলের এর উভয় চাকায় লক ব্যবহার করুন। অননুমোদিত স্থানে মোটরসাইকেল রাখবেন না।
১২. আপনার গাড়ির ড্রাইভার নতুন হলে বিশ্বস্ততার বিষয়ে নিশ্চিত হন এবং তার ছবি ও ঠিকানাসহ সকল তথ্য সংগ্রহে রাখুন।
১৩. গাড়ি চুরি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অটোমেটিক এলার্ম/কার লক/জিপিএস/জিএসএম ডিভাইস ব্যবহার করুন।
১৪. আপনার গাড়ির ড্রাইভারকে গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের সকল বিষয় সম্পর্কে অবহিত করুন।
১৫. মার্কেট কিংবা বিপনী বিতানে গমনের সময় দামি অলংকারাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
১৬. মার্কেট/শপিং মলে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় অনাকাঙ্খিত ভিড় ও ধাক্কাধাক্কি পরিহার করুন।
১৭. পকেটমার, ছিনতাইকারী, প্রতারক ও দুস্কৃতিকারী হতে সাবধান হোন।
১৮. যতদূর সম্ভব দিনের আলোয় কেনাকাটা শেষ করার চেষ্টা করুন। ঝুঁকি এড়াতে অধিক রাতে কেনাকাটা পরিহার করুন।
১৯. ইভটিজিং রোধে মার্কেট কমিটি/পুলিশকে অবহিত করুন।
২০. মালিক পক্ষ স্ব স্ব মার্কেট/শপিং মলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার করুন এবং আপনার এলাকার থানা/ফাঁড়ির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখুন।
২১. মার্কেট/শপিং মলের নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি স্থাপন করুন।
২২. মার্কেট/শপিং মল সংলগ্ন কোন বাসা, মেস, হোটেল বা রেস্টুরেন্ট থাকলে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন যেন কেউ আপনার মার্কেট/শপিং মলের দেয়াল ভেঙ্গে বা ফুটো করে ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে।
২৩. দোকানের ক্যাশ, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে নিজস্ব নিরাপত্তায় এবং প্রয়োজনে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
২৪. মার্কেট/শপিং মলের সামনে কোন সন্দেহজনক লোককে ঘোরাফেরা করতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশকে অবহিত করুন।
২৫. মালিক পক্ষ স্ব স্ব মার্কেট/শপিং মলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে নিজেদের জেনারেটন ব্যবহার অধিক তৎপর হোন।
সর্বোপরি আপনার নিরাপত্তা আপনার সচেতনতার ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। সর্বদা সতর্কাবস্থায় থাকলে যে কোন আসন্ন বিপদ থেকে আপনি নিরাপদে থাকতে পারেন।
সুত্র,ডিএমপি নিউ