বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ঃ
আর কদিন পরই খুশীর ঈদ। প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে আপনিও হয়ত বাড়ি যাবেন। আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। নাগরিক জীবনের নিরাপত্তা বিধান, ঈদের অনাবিল আনন্দ এবং শান্তি অটুট রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আপনার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছে। সেই সাথে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছে।
ডিএমপি’র নিরাপত্তা পরামর্শসমূহঃ
১। কোরবানীর হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের সময় অর্থ লেনদেনে সর্তক থাকুন। প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিন।
২। পশু ক্রয়-বিক্রয়ের সময় বড় অংকের টাকা লেনদেন হয় বিধায় কিছু অসৎ ব্যবসায়ী জাল টাকার নোট বান্ডিলে দিয়ে দিতে পারে। জাল নোট সংক্রান্তে সন্দেহ দেখা দিলে পুলিশের সহায়তা নিন।
৩। দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে হাসিল সংক্রান্ত মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখুন।
৪। কোরবানীর পশুর হাসিল পরিশোধ করুন এবং হাসিল পরিশোধের রসিদ সাথে রাখুন।
৫। কোরবানীর পশু বহনকারী ট্রাকে অথবা অন্য কোন পরিবহনে কেউ চাঁদা দাবি করলে নিকটস্থ থানা বা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে জানান।
৬। যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ইজারা দেয়া স্থানে শুধুমাত্র পশুর হাট বসবে এবং তার বাহিরে কোথাও পশুর হাট বসবে না।
৭। হাটের জন্য নির্ধারিত চৌহদ্দির বাহিরে পশুর হাট বিস্তৃত করা যাবে না।
৮। গরুর বেপারীগণ নির্ধারিত সময়ে পূর্বে গরু নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করবেন না।
৯। ক্রয়কৃত পশু বহনকারীর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। প্রয়োজনে তার ফোন নম্বর রাখুন।
১০। কোরবানী একটি ধর্মীয় অনুশাসন এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। কোরবানীর পরে আমাদের পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় এবং কেরবানীর পবিত্রতা নষ্ট না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখুন। সুন্দর পরিবশ রক্ষা করে ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করুন।
১১। পশু জবাইয়ের পূর্বে গর্ত করে নিন। গর্তের মধ্যে রক্ত, গোবর ও পরিত্যক্ত অংশ পুঁতে রাখুন। জবাইকৃত পশুর উচ্ছিষ্টাংশ নিকটতম ডাস্টবিনে ফেলুন।
১২। জবাইকৃত পশুর রক্ত ও অপ্রয়োজনীয় অংশ নর্দমা কিংবা যেখানে-সেখানে ফেলবেন না। এতে পরিবশ দূষিত হয়, মশা-মাছির বংশ বৃদ্ধি পায় এবং মারাত্নক রোগ ছড়ায়।
১৩। কোরবানীকৃত পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণের জন্য প্রয়োজনে নিকটস্থ সিটি কর্পোরেশনকে সংবাদ দিন।
১৪। কোরবানীর বর্জ্য অপসারণ বা কোরবানীর গোস্ত বিতরণে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ/পাত্র ব্যবহার করুন।
১৫। ঈদগাহে যাওয়ার সময় নগদ অর্থ বহন পরিহার করুন। মোবাইল ফোন বহন করার ক্ষেত্রে সর্তক থাকুন।
১৬। গরু বিক্রেতাদের নগদ অর্থ পরিবহনের পরিবর্তে পশুর হাটে বা সন্নিকটে অবস্থিত ব্যাংকে জমা দিন/প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিন।
১৭। ঢাকায় আগত পশুবাহি যানবাহনের সামনে ব্যানারে গন্তব্যের/হাটের নাম বড় করে লিখে রাখুন।
সর্বোপরি আপনার নিরাপত্তা আপনার সচেতনতার ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। সর্বদা সতর্কাবস্থায় থাকলে যে কোন আসন্ন বিপদ থেকে আপনি নিরাপদে থাকতে পারেন।
সুত্র/ডিএমপি নিউজ