অনলাইন ডেস্কঃ
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি রাখাইন রাজ্যে চলমান সংকট নিয়ে আগামী সপ্তাহে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়া’র।বুধবার দেশটির সরকারের মুখপাত্র জ্য হতায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান, ভাষণটি ১৯ সেপ্টেম্বর টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে।
গেলো তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশটির রাখাইন রাজ্যে বহু মানুষ নিহত এবং তিন লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর প্রথমারের মতো জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন সু চি।জ্য হতায় বলেন, সু চি দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, অভ্যন্তরীণ শান্তির জন্য এবং সাম্প্রদায়িক সংঘাত বিস্তার রোধের চেষ্টা করছেন, তাই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না।
এদিকে মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না সু চি। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে এ অধিবেশন শুরু হবার কথা রয়েছে।ইউ কিউ জেয়ার বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে মনোযোগ দেয়ার কারণে স্টেট কাউন্সিলরের বদলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মিয়ানমার সরকারকে প্রতিনিধিত্ব করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভ্যান থিও।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ভাইস প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইউ থাউঙ্গ তুন এতে যোগ দেবেন। অধিবেশনে অং সান সু চি’র নেতৃত্বে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল যোগ দেয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত তা পরিবর্তন করা হয়েছে।গেলো মাসে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) বেশ কয়েকটি পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায়। এতে ১২ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়।পরে দেশটির রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযানে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কয়েকশ মানুষ নিহত হন। গ্রামের পর গ্রাম আগুন লাগিয়ে দেয় দেশটির সরকারি বাহিনী।
এরপর লাখো রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ পালিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসতে থাকে। এদের অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট নৌকায় করে নদী ও সমুদ্র পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা শুরু করে। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে বেশ কয়েকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক নিহতের ঘটনা ঘটে।জাতিসংঘের মতে ৩ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ উপকূলে অবস্থান নিয়েছে। চলমান এ ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বসহ পশ্চিমা বিশ্বের নেতাদের তোপের মুখে পড়েন শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সু চি। শুধু তাই নয় বিশ্বজুড়ে তার নোবেল পুরস্কারও ছিনিয়ে নেয়ার দাবি উঠে।