এম ইসলাম সুজন, জেলা ক্রাইম রিপোর্টার নীলফামারী:
নীলফামারীর ডিমলায় শনিবার সকালে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ইফটিজিং (যৌন
হয়রানীর) ভিডিও ইন্টারনেটে দেয়ার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করে পুলিশে
দিয়েছে এলাকাবাসী। দক্ষিন খড়িবাড়ী গ্রামের আজিজুল ইসলামের কন্যা ও
জটুয়াখাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীটিকে বিদ্যালয়ে আটক করে
মারডাং ও আপত্তিকর ভিডিও ধারন করেন আটককৃতরা বিভিন্ন মোবাইলে
ফোনে ছড়িয়ে দেয়। এতে ছাত্রীটিকে মারডাং করা ও আপত্তিকর অবস্থার ছবি
ছড়িয়ে পড়লে শনিবার সকালে ছাত্রিিটর পিতা ডেকে এনে ৩ বখাটেকে
পুলিশ দেয়।এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে ।
আটককৃতরা হলেন,টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী গ্রামের
সোবাহান আলী পুত্র একই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র রিমন (১৬), একই
ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামের আবেদ আলীর পুত্র ১০ম শ্রেনীর ছাত্র
জয়নাল আবেদিন ( ১৬) ও একই গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র মিজানুর
রহমান (১৭)। আটককৃতদের মধ্যে রিমন ছাত্রীটির সাথে প্রেম নিবেদনের
নামে যৌন হয়রানীর চেষ্টা করে ও অপর দুইজন তার সহযোগী।
ছাত্রীটি অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ মাস আগে আমি বিদ্যালয়ে
প্রাইভেট পড়ার সময় মিজানুর রহমান আমাকে ডেকে এনে ছাত্রীদের
কমনরুমে পাশে রিমনের সাথে কথা বলতে বলেন। আমি কথা বলতে আপত্তি
করলে রিমন আমাকে ঘটনার দিন মারডাং করে এবং জোরপূবক আমাকে
জড়িয়ে ছবি তুলতে বাধ্য করেন। পরবর্তীকে রিমন বিভিন্ন সময় বিদ্যালয়ে
যাওয়ার সময় রাস্তায় আমার গতিরোধ করে আমাকে হুমকি দেন তার সাথে
প্রেম না করলে সে আপত্তির ভিডিও ইন্টারনেটে ছেরে দেয়া হবে।
শুক্রবার রাতে এলাকার বিভিন্ন মোবাইল রিমনের ধারনকৃত ভিত্তিটি দেখে
মেয়েটির পিতা আজিজুল ইসলাম তাদের ডেকে এনে শনিবার সকালে
পুলিশে হাতে তুলে দেয়। আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বখাটেদের
উত্যক্তের কারনে গত ৫দিন থেকে আমার মেয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না।
বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল
ইসলাম শাহিনকে অভিযোগ করা হয়েছিল। এতে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার
মেয়েরে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। আমি বিষয়টি নিয়ে ডিমলা
থানায় মামলা দায়ের করব।
জটুয়াখাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর আলম বলেন, ছাত্রীটির পিতা
আমাকে অভিযোগ করেছে। বিষয়টি আমি অভিযুক্তদের পিতাকে অবগত করলে
তারা অস্বীকার করেন বলেন বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা। ডিমলা থানার
এসআই ইলিয়াস আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মোবাইল ফোনে
ছবি তুলে ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও দেয়ার অভিযোগে ৩জনকে গ্রেফতার
করা হয়েছে। তিনি ভিডিওটি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ছাত্রীটির
পিতা আজিজুল ইসলাম অভিযোগ দিলে থানায় মামলা দায়ের করা হবে। এ
রিপোট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি তবে ছাত্রীটির পিতা মামলার প্রস্তুতি
নিচ্ছে বলে জানা গেছে।