অনলাইন ডেস্কঃ
বিদ্যুতের ফের মূল্যবৃদ্ধির আলোচনা চলছে। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানিতে অংশ নিয়ে সার্ভিস চার্জ ও ডিমান্ড চার্জও দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করেছেন ডিপিডিসির পরিচালক গোলাম মোস্তফা।
এ প্রস্তাবে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)।
তবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর এই প্রস্তাব বরাবরের মতই ভোক্তা অধিকার প্রতিনিধিদের বিরোধিতার মুখে পড়েছে। বিরোধীতাকারীরা বলছেন, বিদ্যুতের কুইক রেন্টালের মতো ব্যয়বহুল ও অস্বচ্ছ খাত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় বন্ধ করলেই বিদ্যুতের বাড়তি ব্যয় দূর করা সম্ভব। তাতে মূল্যবৃদ্ধি না করলেও চলবে।
বর্তমান হারে বিদ্যুৎ বিতরণে ডিপিডিসির প্রতি ইউনিটে ১৫ পয়সা রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে তা সমন্বয়ের পক্ষে মত দিয়েছে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা ডিপিডিসির মোট গ্রাহক সংখ্যা ৯ লাখ ৮৬ হাজার ১৭৬ জন।
এ কোম্পানির প্রস্তাবে বলা হয়, ইউনিট প্রতি ৭ টাকা ৫০ পয়সা সরবরাহ ব্যয়ের বিপরীতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তারা গ্রাহকের কাছ থেকে ৭ টাকা ৭ পয়সা করে নিয়েছে। ফলে ৪৩ পয়সা করে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে এ ঘাটতি আরও বাড়বে।
এ পরিস্থিতিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের ট্যারিফ ৪৩ পয়সা বা ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
এছাড়া আবাসিক সংযোগে ডিমান্ড চার্জ ১৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণির গ্রাহকের ক্ষেত্রেও সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে এ কোম্পানি।
বিইআরসি চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম সভাপতিত্বে এ শুনানিতে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিটিএমইএ প্রতিনিধি আবু বকর, ভোক্তা আমির হোসেন এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিক দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।