অনলাইন ডেস্কঃ
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসাকে ‘সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা’ বলে মনে করছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ও প্রস্তাব ছাড়াই শেষ হয়েছে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত বিতর্ক। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রতিবেশী দেশগুলোকে পাশে নিতে পারেনি সরকার।’
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, দলের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মুনির হোসেন, গোলাম মুর্তজা তুলা প্রমুখ।
রিজভী বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ও চীনকে বিষয়টি বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। প্রথম থেকেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছিল স্থবির-নীরব-নির্বাক। এ ব্যাপারে তারা কিছুই বলেনি। শুরু থেকে বিষয়টি যদি নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপনের জন্য জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো যেত, তাহলে আরও বেশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংগঠিত হতো। বর্তমানে মিয়ানমারের ওপর যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা আরও বেশি হতো।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সরকার বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোকে পাশে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রথম থেকে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা সক্রিয় থাকলে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান বন্ধ করা যেত। বর্তমান সংকটে বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার তাতে সাড়া না দিয়ে একপক্ষ নীতি অবলম্বন করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজায় কেরানীগঞ্জের মির্জাপুরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়ির পূজামণ্ডপে নেতা-কর্মীদের যেতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এটি। বিএনপির হিন্দু সম্প্রদায়ের যেসব নেতা দুর্গাপূজার আয়োজন করেছেন, তাদের অনেকেই নিজ এলাকায় নির্বিঘ্নে উৎসব পালন করতে পারছেন না।