মোঃ বাবুল হোসেন, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন ইউএনও নূর
উদ্দিন আল ফারুক।বিদায় লগ্নে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে
তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।৫ অক্ধেসঢ়;টাবর বৃহস্পতিবার তার শেষ
কর্ম দিবস।তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে
যোগদান করবেন।পাঁচবিবিতে রেখে গেলেন অনেক স্মৃতি।তিনি
ছিলেন গরীব দু:খি মেহনতি মানুষের আপনজন।ভোগ ,
বিলাসিতা এবং দুর্নীতি তাকে স্পর্শ করতে পারেনি।সরকারি
তেলের অপচয় রোধে কখনও হেঁটে কখনও সাইকেলে চরে
ঘুরেছেন।বাজার করেছেন অতি সাধারণ মানুষের মতো।ছুটির
দিনেও অফিস করেছেন।পাঁচবিবি বিনির্মানে তিনি স্বপ্ন
দেখতেন।যে স্বপ্ন তাকে ঘুমাতে দিতনা।অফিস শেষে আরাম
আয়েশ না করে পাঁচবিবি বিনির্মানের কাজে মগ্ন
থাকতেন।শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করেছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন
স্বপ্নের বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ।যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল
গ্রাস থেকে রক্ষার উদ্যোগ নিয়ে ঘুনে ধরা স্টেডিয়ামকে রাতে
দিনে খেলাধুলার উপযোগী করেছেন। নিজে স্টেডিয়ামের ময়লা
আবর্জনা পরিস্কার করেছেন।শৃঙ্খলা ও ব্যয়াম শেখাতে শতায়ু
ফিটনেস ক্লাব তৈরি করেছেন।তার উদ্যোগে ৫শতাধিক
ক্রীড়ামোদী নিয়ে পাঁচবিবিতে প্রথম মিনি ম্যারাথন ও
সাইকেল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজস্ব আদায়ে
রেকর্ড গড়েছেন।বাল্যবিয়ে ও মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ
করেছেন।জুয়াড়ি,খাদ্যদ্রব্যে ভেজালকারী, চাঁদাবাজ ও আইন
অমান্যকারীদের কাছে তিনি ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক। মুখ
দেখে নয় আইন দেখে বিচার করতেন তিনি।ঘুষ দুর্নীতি স্বজন
প্রীতি মুক্ত, ন্যয় নীতিবান এমন কঠোর শাসক পাঁচবিবিবাসী
আগে কখনো দেখেনি।তার কর্মকান্ড ফিল্মিস্টাইলের মতো মনে
হলেও বাস্তবে তিনি তা রুপদান করেছেন।বহু গুনে গুনান্বিত উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা নূর উদ্দিন আল ফারুক নিখাঁদ ভালবাসায়
সিক্ত। তাকে অতি আপন করে নিয়েছিল পাঁচবিবিবাসী।
ইতিপূর্বে তার বদলীর আদেশ জারী হলেও তা বাতিলের জন্য আন্দোলন
হয়েছিল। যা পাঁচবিবির ইতিহাসে বিরল।