অনলাইন ডেস্কঃ
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন হয়েছে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার। পুলিশ যথাযথভাবে গার্ড অব অনারও দিয়েছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার মরদেহের ওপর ছিল বিছানার চাদর! সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা থাকার কথা!
গত শনিবার হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই দিন সকাল ৭টায় নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবদুল হক। গার্ড অব অনার দেওয়ার সময় তাঁর মরদেহের ওপর জাতীয় পতাকা রাখা হয়নি। এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার আবদুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, সাবেক ইউনিট কমান্ডার মোহাম্মদ আলী পাঠান ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়।
ওই অভিযোগে মিজানুর রহমান জানান, গত শনিবার সকাল ৭টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবদুল হক তাঁর নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। বিকেল ৩টায় ইমামবাড়ি তাজপুরে তাঁর নিজ বাড়িতে জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে ৩টা ১০ মিনিটে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানকালে কফিনের ওপর জাতীয় পতাকার পরিবর্তে বিছানার চাদর দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বানিয়াচংয়ের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সন্দ্বীপ কুমার সিংহ বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। একই সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত। গত শনিবার ছিল দুর্গাপূজার দশমীর দিন। এদিকে খবরটি শুনেই আমি থানায় ফোন দেই। গার্ড অব অনারের প্রস্তুতি নিতে বলি। একই সঙ্গে বলে দেই, অবশ্যই একটি জাতীয় পতাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য।’
সন্দ্বীপ কুমার সিংহ আরো বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তারা ভুল করে পতাকা নিয়ে যাননি। এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। তখন আমি কর্মকর্তাদের বলি, আশপাশের স্কুল থেকে একটি পতাকা সংগ্রহ করতে। কিন্তু ততক্ষণে জানাজা ও গার্ড অব অনার শেষ হয়ে যায়।
সুত্র/ ntv