অনলাইন ডেস্কঃ
নিষ্ঠুর বল প্রয়োগে রাখাইন রাজ্য থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক বুধবার ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের সর্বশেষ চিত্রও অবহিত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, গত সোমবার ঢাকায় বৈঠকে মিয়ানমারের মন্ত্রী টিন্ট সোয়ের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক লোকককে জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার সম্মত বলে ওই বৈঠকে সে দেশের মন্ত্রী জানান। আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এ সময় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের সর্বশেষ চিত্র তুলে ধরে জানান, ২৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্যে নিষ্ঠুর বলপ্রয়োগের শিকার হয়ে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এর ফলে বর্তমানে মিয়ানমারের প্রায় ৯ লাখ নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এই বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর ভার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ওপর গুরুতর মানবিক চাপের সৃষ্টি করেছে।
জবাবে মার্ক লোকক জানান, তিনি এরই মধ্যে কক্সবাজার ঘুরে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র দেখে এসেছেন। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিপর্যস্ত ও বিপন্ন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে উদার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছে তা উচ্চ প্রশংসনীয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। রোহিঙ্গাদের জরুরি মানবিক ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করাসহ তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের সক্রিয় সমর্থনের কথাও জানান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক।
জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সমন্বয়ক ও ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেক বৈঠকে মার্ক লোককের সঙ্গে ছিলেন।