শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেড়াইদেরচালা গ্রামে পুলিশের
বিরুদ্ধে বাড়ির গেইটের তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ভাঙচুর ও
লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে
বৃহস্পিবার (৫ অক্টোবর) শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে
যায় বাড়ির মালিক হাছিনা আক্তার রুনা। কিন্তু শ্রীপুর থানা
পুলিশ অভিযোগটি নেয়নি বলে জানান, হাছিনা আক্তার রুনা।
পুলিশের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাচ্চু। এছাড়া
পুলিশ ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা,এবং ৪ ভরি
স্বর্ণলংকার নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জানা যায়, এর আগেও উপজেলার একই এলাকায় হাজ্বী নুরুল
ইসলামের ছেলে আক্তার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী ফাতেমা
বেগমকে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে।পরে ৪০হাজার টাকার
বিনিময়ে ছেড়ে দেয় জয়দেপুর থানার পুলিশ মিলাদুন্নবী।
বাড়ির মালিক আবুক্কর ছিদ্দিক (বাচ্চু) বলেন,৫/১০/২০১৭ইং রাত
১টার দিকে ৫ থেকে ৬জন লোক পুলিশ পরিচয়ে আমাদের ঘরে ঢুকে
ভাঙচুর শুরু করে। ঘরের চেয়ার, বাক্স, টিভি,এলইডি,সুকেস,ঘরের
সিলিংসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর চালায়। আমার স্ত্রী
হাছিনা আক্তার রুনা পরিচয় জানতে চাইলে বলে আমরা জয়দেবপুর
থানার পুলিশ,এসময় একজন মিলাদুন্নবী বলে নাম জানা গেছে।
হাছিনা আক্তার রুনা বলেন, আমার স্বমী একজন জুট ব্যবসায়ী
আমার স্বামীর সাথে ঢাকা জেলার শ্যামপুর থানা ধলাইপাড়া
গ্রামের শফিকুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয়,সেই সুবাদে দু’জন
মিলে এক সাথে জুট ব্যবসা করছিল। শফিকুল ইসলাম ব্যবসার
টাকা আত্মসাদ করায় আমার স্বী তাকে ওই ব্যবসা থেকে বাদ
দিয়ে দেয়। এর জেরধরে শফিকুল ইসলাম (৫অক্টোবর) রাত ১টার দিকে
শফিকুলে নেতৃত্বে আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে
ভয়-ভীতি দেখায়। ঘরের বাক্স ভেঙে স্বর্ণলংকারসহ নগদ টাকাও নিয়ে
গেছে। ওই সময় আমার ছেলে স্বর্গ অজ্ঞান হয়ে যায়, স্বর্গ
জানান,আমার বাবাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, পুলিশ এসে আমাদের আসবাবপত্র
ভাঙচুর করে। এলাকার দ্বন্ধসঢ়;দ্ব-সংঘাত নিয়ে পুলিশের এ ধরনের
ভূমিকায় আমরা হতবাক! এর রহস্য কী?
জয়দেবপুর থানার পুলিশ ইন্সপেক্টোর মিলাদুন্নবী বলেন, আমার
বিরুদ্ধে ঘরে ঢুকে ভাঙচুরের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা
সঠিক নয়। শফিকুল ইসলাম আবুক্কর ছিদ্দিক বাচ্চুর কাছে
ব্যবসায়ীক দেড় লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে বলে জয়দেবপুর থানায়
লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি
ঘটনাস্থলে গিয়েছি।