অনলাইন ডেস্কঃ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে যেভাবে বেহাল করেছে এই সরকার, তাতে বিচার বিভাগের সম্মান, মর্যাদা ও ভাবমূর্তি নস্যাৎ হয়েছে; ভবিষ্যতে আরো ঘটবে বলে আশঙ্কা করি।’
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক গোলটেবিল আলোচনায় সাবেক এই আইনমন্ত্রী এসব বলেন। ‘চলমান সংকটের সমাধান কোন পথে’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে নালিশের প্রধান একটা কারণ হলো, তিনি বলেছিলেন যে দেশের স্বাধীনতা একজনের জন্য হয়নি, সকল মানুষের জন্য হয়েছে। এ জন্যই এত বিদ্বেষ, এত ক্ষোভ। আজকে এই যে সংকট, গণতন্ত্র দেশে নেই, এর পরিবর্তে যদি দেখতাম রাজনীতি আছে, গণতন্ত্র আছে। কেন আমরা এই ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধ করলাম, কেন করেছি? একটা বিরাট আশা নিয়ে করেছিলাম যে দেশ প্রাণচঞ্চল থাকবে, মৌলিক অধিকার থাকবে, কার্যকর একটা সংসদ থাকবে।’
মওদুদ বলেন, ‘সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এখনো চলছে। এমনিতেই আমরা একটা মার্জিনাল ইকোনমিক স্টেট (অর্থনৈতিক রাষ্ট্র), এর মধ্যে আমাদের মধ্যে আবার রয়েছে মানবতাবোধ, রোহিঙ্গাদের সেবা, দেখাশোনার ব্যবস্থা করেছি আমরা, আমরা তো একটা মানবিক জাতি কিন্তু তাদের অনুপ্রবেশ তো বন্ধ করতে হবে।
জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ করে কোনো লাভ হবে না। জাতিসংঘকে সরাসরি জড়িত করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকে এই রোহিঙ্গা সংকট একটা জাতীয় সংকট, দলীয় সংকট নয়। সরকার সব সময় মনে করে তাদের দলীয় সংকট। এই সংকট মোকাবিলা করা আমরা মনে করি সরকার এককভাবে চেষ্টায় ব্যর্থ, সরকারি দল ও সরকারি দলের বাইরে আরো যত দল আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রচেষ্টা নিলে আন্তর্জাতিক সমর্থন আরো বেশি পাবে, কিন্তু সরকার আন্তর্জাতিকভাবে বোঝাতে পারছে না। কারণ তারা (বিশ্ব) জানে যে আপনারা দুর্বল, তারা জানে যে আপনারা নির্বাচিত সরকার নন। এই দুর্বলতার কারণেই কিন্তু আজকে এই কূটনৈতিক ব্যর্থতা। কূটনৈতিক ব্যর্থতার মূল হলো এই বর্তমান সরকারের আসল যে শক্তি, সেই শক্তি তাদের নাই বলেই তারা ব্যর্থ, সেই শক্তি হলো দেশের জনগণ, তাই দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করুন। আসুন আমরা সহযোগিতা করব, এই সংকট সমাধানের জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।’
গোলটেবিল বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমসহ অন্যান্য নেতা।