অনলাইন ডেস্কঃ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি মোটেও নতজানু নয় বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, ‘সমালোচকদের উসকানিতে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুদ্ধ করবে না।’
আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার নতজানু নীতির পরিচয় দিয়েছে বলে যে সমালোচনা করা হয় তার জবাব অনেকটা ক্ষোভের সঙ্গেই দিয়েছেন পরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এ ব্যাপারে সঠিক পথেই আছে। কোনো উসকানিতে কাজ হবে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘টকশোতে যেসব কথাবার্তা বলে, এগুলো কী ধরনের কথাবার্তা? যা করা সম্ভব তা তো আমরা করছি।’
মাহমুদ আলী বলেন, ‘নতজানু কী? তার মানে কি যুদ্ধ করব? না যুদ্ধ করবেন না। তাহলে কী করব? যুদ্ধ করা তো সম্ভব না। কারণ যুদ্ধ করলে তো সব ধ্বংস হয়ে যাবে।
আপনারা দেখেন না সিরিয়া, ইরাকে, ইয়েমেনে কী হচ্ছে? কোথায় আমাদের সমর্থন করবে, না উল্টাপাল্টা কথা বলে। উল্টাপাল্টা কথা বললে কোনো কাজ হবে না। আমরা সেগুলো করব না। যুদ্ধ করতে বললে আমরা যুদ্ধ করব নাকি? কেন যুদ্ধ করব?’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মিয়ানমারের মন্ত্রীকে বলেছিলাম মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের বর্ডার হলো মাত্র ২৭১ কিলোমিটার। সেখানে ভারতের সঙ্গে আমাদের বর্ডার হলো চার হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। ভারতের সঙ্গে এত দীর্ঘ বর্ডার নিয়েও যদি সমস্যার সমাধান করতে পারি, তাহলে এত ছোচ বর্ডার, এটা কেন পারব না। আর আমরা তো গত বছর তাদের দুজন ইনসারজেন্ট (বিদ্রোহী) এখানে ধরা পড়েছিল তাদেরকে আমরা হ্যান্ডওভার (হস্তান্তর) করে দিয়েছি, প্রত্যর্পণ করেছি মিয়ানমার সরকারের কাছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সীমান্তে যে আমরা বিশ্বাস করি সেটা তো আমরা প্রমাণ করেছি। কাজেই পারব না কেন? এখন দেখা যাক। বল তাদের কোর্টে।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও মিয়ানমার সহ ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদেরকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। এসময় রাষ্ট্রদূতরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করেন বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।