অনলাইন ডেস্কঃ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযানে সহিংসতার শিকার হয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ নামের একটি সংগঠন ১০ থেকে ১১ অক্টোবর এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তাদের পরবর্তী প্রতিবেদন আগামী ১৭ অক্টোবর প্রকাশিত হবে।
গত দুদিনে নতুন করে ১৪ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার জেরে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এই অঞ্চলটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের জাতিগতভাবে নির্মূল করতে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গা নারী-শিশুদের হত্যা, ধর্ষণসহ পুড়িয়ে দেওয়া হয় রোহিঙ্গাদের গ্রাম।
রাখাইনে সেনাবাহিনীর সহিংসতার শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা।
বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের সমালোচনা হলেও এই সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেয়নি মিয়ানমার সরকার।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের অধিবাসী নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, দেশটি থেকে পালানো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যাও গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
মিয়ানমারের সেনাপ্রধান বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলিমরা ঔপনিবেশিক আমল থেকেই ‘বাঙালি’। ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরাই আজকের রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।