টি.আই সানি,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
ঈদুর-বিএলবি রোগে আক্রান্ত আমন ধান ক্ষেত শ্রীপুরে কৃষকরা অসহায় হয়ে
পড়েছে। উপজেলা ৮টি ইউনিয়নে ও একটি পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের
কৃষকের আমন ধান খেতে ঈদুর ও বিএলবি (পাতা পোড়া) রোগে আক্রমনে
আক্রান্ত হইয়ে শত শত বিঘা জমির আমন ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষি
কর্মকর্তারা খেতে পরিদর্শন করেও রক্ষা করতে পারেনি কৃষকের আমন ধান।
আমান ধানের ফসল নষ্ট হতে দেখে ঘুমনেই কৃষকের চোখে। কৃষকরা ছুটে
যাচ্ছে সার ঔষদ বিক্রেতার কাছে। কেও বা যাচ্ছেন কৃষি অফিসে। আমন
ফলনের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ার আশংকায় কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলা ও পৌরসভা
বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে।
এর মধ্যে ১২ হাজার নয় ’শ পঁচিশ হেক্টর জমিতে উফশী জাত, ২৫ হেক্টর
জমিতে হাইব্রিট জাতও ছয় ’শ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে স্থানীয় অন্যান্য
জাতের ধান সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ধান ক্ষেতে দেখা দিয়েছে
ঈদুরের উপদ্রব। মহামারী আকার ধারণ করেছে বিএলবি বা (পাতা পোড়া)
রোগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আমন ক্ষেতের মাঝখানে ইদুরের আক্রমন ও
বিএলবি পাতা পোড়া রোগ কৃষকরা জানান, গোসিংগা ইউনিয়নের পটকা,
দড়ি খোজেখানি ও গাড়ারন গ্রামে পৌর এলাকার উত্তর পাড়ার কৃষকরা
জানান, ধান ক্ষেতে ঈদুরের আক্রমন ঠেকানো যাচ্ছে না । পানির মধ্যেই ঈদুর
ধান গাছের গোরা কেটে ফেলছে এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ক্ষেতের ধান।
কৃষক জানান এলাকার বহু জমিতে এ রোগের প্রকোপ দেখা গেছে। জমিতে
ঈদুর আর পাতা পোরা রোগ দেখা দিয়েছে। কৃষক আহাম্মদ জানান, আড়াই
বিঘা জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। আশ পাশের জমি ও আক্রান্ত হয়েছে।
বিন্দু বাড়ী গ্রামের কৃষক মো: আকতার হোসেন শেখ জানান, আমন ধানের
৩ বিঘা খেত ধান পাতা পোরা রোগে নষ্ট হয়ে গেছে। এছারা পৌর এলাকা
ভাংনাহাটি, উজিলাব
, বাউনী, হায়ৎখারচালা, কাওরাইদ ও বরমী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা
ঈদুরে আক্রমন আর পাতা পোরা রোগে ক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে।
মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের অভিযোগ তারা কালে ভদ্রেও কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠে
দেখেন না। শ্রীপুর বাজারের সার কীটনাষক ব্যরসায়ী কবির হেসেন জানান
প্রতিদিন তার দেকানে যত কৃষক আসেন তার মধ্যে ঈদুরের আক্রমন আর
পাতা পোরা রোগের সমস্যা নিয়ে আসেন। উপজেলার সর্বত্রই ঈদুরের
আক্রমন আর পাতাপোরা রোগের কারণে কৃষকরা অসহায় হয়ে পরেছেন। এ
ব্যাপারে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এ.এস.এম মুইদুল হাসান জানান,
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগেরে প্রকোপ বেশী দেখা যাচ্ছে।
ইতি মধ্যেই ঈদুর নিধন কার্যক্রম গ্রহন করেছেন। উপ সহকারী কৃষি
কর্মকর্তাদের নিয়ে নয়টি স্কোয়াট গঠন করে মাঠে রোগ বালাই নিয়ন্ত্রনে কাজ
করে যাচ্ছেন। বিএলবি (পাতা পোরা) রোগে ৫০% পাত নষ্ট হয়ে গেলেও
ফসলের তেমন ক্ষতি হবেনা।