মোঃ বাবুল হোসেন, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ৩ মাসে আধুনিক
পদ্ধতিতে কোরআন শিক্ষার নামে চলছে অভিনব প্রত্যারণা। আর এই অভিনব
প্রত্যারণাটি করছে কয়েকজন তরুন মাদ্রাসা ছাত্র। এরা কয়েকজন মিলে
গ্রুপ করে “আধুনিক পদ্ধতিতে কোরআন ও নামাজ শিক্ষা ফাউন্ডেশন ”
নামে ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত গ্রামে। তাদের এই প্রত্যারণায় শিকার হন
গ্রামের ধর্মভীরু সহজ সরল মহিলারা। কোরআন শিক্ষার অন্তরালে তাদের থেকে
কৌশলে হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা।
খোজ নিয়ে জানা যায়, সৈয়দপুরের মাহিদুল ইসলাম (মিলন) নামে এক ব্যক্তি
জয়পুরহাট এলাকায় এসে কয়েকজন মাদ্রাসা যুবককে নিয়ে গড়ে তোলেন
আধুনিক পদ্ধতিতে কোরআন শিক্ষা ফাউন্ডেশন। এরপর তাদের কে ছড়িয়ে
দিয়েছে প্রত্যন্ত গ্রামে। এরা গ্রামে এসে সহজ সরল মহিলাদের পূর্বে
কোরআন পড়াকে ভূল আখ্যা দিয়ে আধুনিক পদ্ধিতে ফ্রি কোরআন পড়ার
আহবান জানান। ধর্মের বিভিন্ন কথা বলে মহিলাদের আকৃষ্ট করেন।
এরপর তাদের একত্রি করে ভর্তি নামে শিক্ষার্থীর অর্থনৈতিক অবস্থার উপর
সর্ব নি¤œ ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ভতি আদায় করে। বই
বিক্রির নামে নেওয়া হয় ১শত টাকা করে। ভালমত অক্ষর পরিচিতি, পড়া না পেলেও
সকল শিক্ষার্থীদের নিকট এক সঙ্গে কোরআন তুলে দেন। সেক্ষেত্রে কোরআন
প্রতি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে নেওয়া ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা। আবার
কয়েকদিন পর পর মিলাদ দোয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা তোলা হয়।
কয়েক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অন্য কোথাও থেকে কোরআন কিনতে
দেওয়া হয়না। তাদের নিকট থেকেই নিতে হয়। প্রথমে ফ্রি কোরআন পড়ার
কথা বলা হলেও কোরআন শরীফ হাতে তুলে দেওয়ার সময় প্রতি শিক্ষার্থীদের
নিকট থেকে পরিবারের অর্থনৈকি অবস্থার উপর ভিত্তি করে ২ হাজার টাকা
থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়।
তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর অভিযোগ, কোরআন শিক্ষার ক্লাশে টাকা নেওয়া
শেষ হলেই তারা আর নিয়মিত ক্লাশে হাজির হয় না। এভাবে সম্পূর্ণ
কোরআন শিক্ষা না দিয়েই মহিলাদের নিকট থেকে হাজার টাকা হাতিয়ে
নেন তারা। কোরআন শিক্ষার নামে ধর্মভীরু মহিলাদের সাথে বড় জালিয়াতি
বলে মনে করছেন অনেকে।
্ধসঢ়;এবিষয়ে আধুনিক কোরআন ও নামাজ শিক্ষা ফাউন্ডেশনের সভাপতি
মাহিদুল ইসলাম (মিলন) এর ০১৯৩১- ৫৩৮৬০০ মুটোফোনে যোগাযোগ
করা হলে তিনি মোবাইলে কথা বলা যাবে না । সাক্ষাতে কথা বলতে বলে লাইন
কেটে দেন।