স্টাফ রিপোর্টার-ফরহাদ হোসেনঃ ঢাকার আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ভুয়া ডাক্তার দিয়ে চলছে ক্লিনিক ও হাসপাতালের চিকিৎসা-রোগীদের জিম্মি করে ভেজাল ওষুধের রমরমা কারবার। সংশ্লিষ্ট প্রশাসেন হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল। রবিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় যেখানে-সেখানে ওষুধের দোকানে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। সেই সাথে কথিপয় ভুয়া ডাক্তাররা চিকিৎসার নামে রোগীদের সাথে প্রতারণা করছে। বিশেষ করে বহিরাগত কিছু ব্যক্তি এসএসসি পাস করছেন কি না? তবুও তারা ডাক্তার বনে গেছেন! এরকম ডাঃ লেখা অনেক ওষুধের দোকানে চিকিৎসক রয়েছে। তথ্যমতে শুধু সাভার আশুলিয়ায় প্রায় দুই হাজার (২০০০) ওষুধের দোকান আছে। এসব ওষুধের দোকানে বেশিরভাগই ড্রাগ লাইসেন্স নেই। সুত্রে জানা গেছে, আশুলিয়ায় ভুয়া ডাক্তাররা ভিআইপি ভাবে জীবনযাপন করছেন। সারাদেশব্যপী প্রায়ই এই চিত্র দেখা যায়, কিছু ওষুধের দোকানদার সমিতি করছেন আর সেই সমিতিভুক্ত সদস্য করে সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে ওষুধের ব্যবসা করছেন-এ যেন দেখার কেউ নেই। বিশেষ করে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ নিম্নমানের ও ভেজাল হওয়ার কারণে মানব দেহে যেমন বিপদজনক, তেমনি ভুয়া ডাক্তার আরও বেশি বিপদজনক মনে করেন সচেতন মহল জনগণ। উক্ত ব্যাপারে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখা যায়, প্রায়ই প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার কে গ্রেফতা করে জেল জরিমানা করছেন। এরপরও বন্ধ হচ্ছে না প্রতারণা। মফস্বল এলাকায় প্রশাসনের তেমন নজরে আসে না, তাই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অনেকেই জানান। বিশেষ করে আশুলিয়ার জামগড়া ও ইউনিক এলাকায় ২-৩ জন ভুয়া ডাক্তার রয়েছে! সেই সাথে যেখানে-সেখানে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ জমজমাট ভাবে ব্যবসা করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে লিটন নামের দুইজন ব্যক্তি বলেন, ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করতে হলে রোগী সাজতে হবে এবং ভেজাল ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান চালানো জরুরি হয়ে পড়েছে। উক্ত ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।