সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রি করতে বাঁধা দেওয়ার
কারণে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হামলায় ১ মুক্তিযোদ্ধা,তার স্ত্রী ও ২
সন্তানসহ মোট ১০জন আহত হওয়ার খরব পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে
গুরুতর অবস্থায় আজ ২২.১০.১৭ইং রবিবার সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান
হ্নদয় মিয়া (১৬) কে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সুজাফর মিয়া (৬৭),তার স্ত্রী জুলেখা
বেগম(৫০), ছেলে মোশারফ হোসেন(২০) কে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক
চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে আজ
২২.১০.১৭ইং রবিবার দুপুর ২টায় উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের
বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত ইয়াবার গ্রাম
নামে খ্যাত দুধেরআউটা গ্রামে।
এলাকাবাসী জানায়,উপজেলার বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের
সামনে অবস্থিত দুধের আউটা গ্রামের চিহ্নিত সীমান্ত
চোরাচালানী ও বিজিবি সোর্স পরিচয়ধারী চাঁদাবাজি মামলার
জেলখাটা আসামী জিয়াউর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে তাইর একান্ত
সহযোগী মাদক ব্যবসায়ী মোবারক মিয়া,এরশাদ মিয়া,তার ছোট
বোন রুইতন নেসা ও ইয়াবা সম্ধসঢ়;্রাজ্ঞী খ্যাত আংগুড়ি বেগম তাদের
নিজনিজ বসতবাড়িতে দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবা,হেরুইন ও
মদ,গাঁজা বিক্রি করে আসছে। সম্প্রতি ইয়াবাসহ আংগুড়ি বেগম ও
তার গডফাদার জিয়াউর রহমান জিয়া পুলিশ,সাংবাদিক ও বিজিবি
নামে চাঁদাবাজির জন্য ধরা পড়ে দীর্ঘদিন জেল খেটে এসেছে।
তারপরও ক্ষন্ত হয়নি তারা। বর্তমানে দুধেরআউটা গ্রামকে তারা
ইয়াবার গ্রাম হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে। পুলিশ ও বিজিবিকে
মাসোয়ারা দিয়ে ম্যানেজ করে প্রতিদিনের মতো আজ ২২.১০.১৭ইং
রবিবার দুপুরে গডফাদার জিয়াউর রহমান জিয়ার নিতৃত্বে তার
সহেেযাগী মোবারক মিয়া প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রি করার সময়
মুক্তিযোদ্ধা সুজাফর মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন বাঁধা দিলে
মাদক ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
সংঘর্ষের সময় এলাকার লোকজন বাঁধা দিলে তারাও মাদক ব্যবসায়ীদের
হামলার শিকার হয়।
এব্যাপারে আহত মুক্তিযোদ্ধা সুজাফর মিয়া বলেন,ইয়াবার গন্ধ সইতে
না পেরে আমার ছেলে প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর তারা হামলা
চালিয়েছে,আমি এই অন্যায়ের বিচার চাই।
এব্যাপারে জানতে তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর এর সরকারি
মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে একজন কনস্টেবল ফোন ধরে বলেন
মোবাইলটি থানার বাহিরে চার্জ দেওয়া হচ্ছে,ওসি স্যার থানায়
আছেন।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান বলেন,এব্যাপারে খোঁজ
খরব নিয়ে শীগ্রই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।