মোঃ আব্দুর রহিম, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের প্রতিটি
উপজেলা ও ইউনিয়নের শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত গ্রাম ও শহরের মানুষদের জন্য এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে
সরকার । শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের আওতায় ওইসব
গ্রামগুলোতে বিদ্যুত দেয়া হচ্ছে। এজন্য বিদ্যুত বিভাগ বিশেষ নির্দেশনা
দিয়েছে। এ প্রকল্পের অাওতায় বিভিন্ন সুত্র থেকে মৌলভীবাজার পল্লী
বিদুৎ সমিতির স্টেকার ও স্টেকার ইঞ্জিনিয়ারদের অনেক দুর্নীতি ও
অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায় ।
এই প্রকল্পে গ্রাহকের নিকট থেকে কোন টাকা অাদায় করার নিয়ম না
থকলেও গ্রাহকের নিকট থেকে বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে স্টেকাররা মাঠে ম্যাপ
করতে গিয়ে স্টেকিং সীট তৈরী করে টেন্ডারের জন্য পাঠাতে হাতিয়ে নেওয়া
হচ্ছে হাজার হাজার টাকা ।
কোন গ্রাহক টাকা না দিলে স্টেকাররা স্টেকিং সীট অফিস থেকে উদাও করে ফেলছে
পাওয়া যায়নি গ্রাহকের কোনো আলামত ।মৌলভীবাজারের উপজেলার এক গ্রাহক মোঃ
আজাদ মিয়ার কাছ থেকে স্টেকার মোঃ নোমান আহমদ সরেজমিনে গিয়ে ভিন্ন খরচ
দেখিয়ে ২৫০০ টাকা আদায় করে । কিছুদিন পর আরো পনেরো হাজার টাকা দাবী করে
টাকা না দিলে টেন্ডার হবে না বলে জানায়। মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় শত ভাগের
কাজ প্রায় সম্পন্ন কিন্তু টেন্ডার হয়নি টাকা না দেওয়া দায়ে ঐ গ্রাহকের ।
এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে মৌলভীবাজার
পল্লী বিদুৎ সমিতির সহকারী প্রকৌশলী জনাব মোঃ মইনূল হোসেন কে
জিজ্ঞাসাবাদ কালে স্টেকার মোঃ নোমান আহমদ কাছ থেকে সত্যতা ও
স্বীকারোক্তি মূলক আলামত পাওয়ার ভিত্তিতে সুনিদিষ্ট ভাবে অভিযোগ
উত্থাপন করায়, তিনি নোমান অাহম্মেদ নামে এক স্টেকারের বিরোদ্ধে
প্রয়োজনীয় ব্যাবস্তা গ্রহন করার জন্য রিটেইনার ইঞ্জিনিয়ার জনাব
অাশিকুর রহমান কে লিখিত নির্দেশ দেন ও নোমান আহমদ কে আগামী ৫ নভেম্বর
গ্রাহকের সম্মুখে ২৫০০ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং স্টেকার নোমান
কে আগামী (৫ নভেম্বর) থেকে চাকুরীচ্যুত করা হবে বলে জানান ।
অফিসে দেখা যায় দালাল চক্রের উপছে পড়া ভিড় স্টেকার ও স্টেকার
ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা যেখানে সরকারের বিনা
মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। স্টেকার ও স্টেকার ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে
গ্রাহক ও সাংবাদিক কোনো তথ্য চাইলে সঠিক কোন তথ্য প্রদান করতে নারাজ ।
এ সময় সহকারী প্রকৌশলীর কক্ষে বসা উপরু মিয়া নামক এক ব্যাক্তি
সাংবাদিকদের সাথে অযথাচিত ভাবে তর্কে জরিয়ে পরেন এবং নিজেকে
গ্রাহক পরিচয় দেন । খবর নিয়ে জানা যায় তিনি পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে
বিভিন্নভাবে দালালী করেন ।
উনার এই সময় প্রকৌশলীর কক্ষে থাকার উদ্দেশ্য কি এটা সঠিক ভাবে
জানা যায় নি । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তা
জানান উপরু মিয়ার মত দালালরাই সাধারনত গ্রাহকদের থেকে টাকা পয়সা
অানছে এবং পল্লী বিদ্যুত সমিতির বদনাম করছে ।