শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার
গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধীকবার ধর্ষন করার
অভিযোগে পাওয়া গেছে। আবদার দক্ষিণপাড়া এলাকায় এক নারী
(১৭) কে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দুই বছর যাবৎ শারীরিক সম্পর্ক
গড়ে তুলে বাড়ির মালিক আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া
(২০)। বিয়ে না করায় ২৯ (অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে আব্দুল জলিলের
পশ্চিম কণারের ঘরের আড়ার সাথে উরনা দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে
ভূক্তোভোগি ওই ধর্ষিতা।
ভূক্তোভোগির পরিবার সূত্রে জানা যায় উপজেলার আবদার গ্রামের
জলিলের বাড়িতে দুই বছর যাবৎ ভাড়া থেকে স্থানীয় আর এ কে
সিরামি´ কারখানায় চাকরি করেন ভূক্তোভোগির বাবা।সেই
সুবাদে বাড়ির মালিকের ছেলে জুয়েল মিয়ার সাথে প্রেমের
সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে জুয়েল মিয়া বিয়ের প্রলোভন
দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধীকবার ধর্ষন করে। বিষয়টি
জানাজানি হলে,মেয়ের পরিবারকে বিয়ে না করার বিষয়টি জুয়েল
জানিয়ে দেয়। এবং জুয়েলের পরিবার অন্য আরেক জায়গায় বিয়ে
ঠিক করেন।
বিয়ের বিষয়টি ভূক্তোভোগি মেয়ে জানতে পেরে জুয়েলকে বিবাহ
করার জন্য চাপ দিতে থাকলে সুচতুর তাল বাহানা শুরু করে মিথ্যা
আশ্বাস দিতে থাকে। প্রতারনার শিকার ভূক্তোভোগি ওই নারী
জানান, গত দুই বছর পূর্বে নেত্রকোনা জেলা কেন্দুয়া থানার
কান্দিউরা এলাকা থেকে আমার বাবা কারখানায় চাকুরীর উদ্যেশে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার আবদার দক্ষিণপাড়া এলাকায় আসেন।
পরে জলিলে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন,জলিলের ছেলে
জুয়েলের সাথে তার প্রথম পরিচয় হয়। ওই পরিচয় থেকেই তাদের
মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরবর্তীতে বিবাহ করে স্ত্রী হিসাবে সামাজিক স্বীকৃতি
দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এভাবেই
দুই বছর কাটে তাদের। বিবাহের কথা বারবার বললেও জুয়েল বিবাহের
অস্বীকৃতি জানিয়ে তাকে টাকা/পয়সা নিয়ে চেপেঁ যেতে
বলেন। এ বিষযেটি লোকজনকে বললে তাকে হত্যার পর লাশ গুমের হুমকি
প্রদান করেন। বিবাহে ব্যর্থ হয়ে ওই নারী এখন মানসিকভাবেও
ভেঙ্গে পড়েছেন,কোল কিনার না পেয়ে আত্মহত্যার পথবেচে
নিয়েছেন বলে জানান ওই নারী। ভূক্তোভোগির পরিবারের অভিযোগ
বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে স্থনীয় লোকজনের মাধ্যমে।