অনলাইন ডেস্কঃ 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি নিজেদের লোক দিয়েই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে।  তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছি।’ এটা তদন্ত করে এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

আজ মঙ্গলবার কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামের সামনের মাঠে অনুষ্ঠিত জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে হানিফ বলেন, ‘এর সঙ্গে (গাড়িবহরে হামলার) জড়িতদের আইনগত ব্যবস্থা নিলে তখন যেন মায়াকান্না করে বলেন না যে, রাজনৈতিক হয়রানির জন্য মামলা করা হয়েছে। আমরা অবশ্যই এই হামলার বিচার করব।’

হানিফ বলেন, ‘বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি শাহাদাত হোসেন উনি ফেনীর এক নেতাকে ফোনে বলেছেন কীভাবে হামলা করতে হবে। সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। উনি বলেছেন, বলে দিয়েন পোলাপানরে ম্যাডামের গাড়িতে যেন ঢিল না পড়ে। আরেকজন বলেন, চিন্তা করেন না, ম্যাডামের গাড়ির কোনো ক্ষতি হবে না। সব ব্রিফ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের গাড়ির ওপর আক্রমণ করা হবে। দু-একজন ছাত্রলীগের নেতাও ম্যানেজ করা হয়েছে। তারা সামনে থাকবে।’

হানিফ আরো বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করে বিএনপি একটি রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করতে চায়। এ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ করার কিছু নেই।’

হানিফ বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘ্সহ পুরো বিশ্ব যখন শেখ হাসিনার প্রশংসা করছে তখন বেগম খালেদা জিয়া বলছেন রোহিঙ্গাদের জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। এই ধরনের মিথ্যাচার করে আর কোনো লাভ হবে না।’

আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, ‘ষড়যন্ত্র আর ক্যূ ছাড়া বিএনপির রাজনীতিতে কিছু নেই। এ ছাড়া বিএনপির কোনো কাজ নেই।’

ওমর ফারুক আরো বলেন, ‘বেগম জিয়া ত্রাণ প্রহসনের নামে মানবতার চরম অপমান করেছেন।’

সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ, কুষ্টিয়ার কুমারখালী-খোকসা আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ, দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী, কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সহসভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর সামনে সাংগঠনিক নিয়মে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। সকাল থেকেই কয়েক হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে অংশ নেয়।

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। সম্মেলন স্থল বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন আর তোরণ নির্মাণসহ নানা সাজে সাজানো হয়।