অনলাইন ডেস্কঃ
রাজধানীর কাকরাইলে শামসুন্নাহার ও তাঁর ছোট ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করার কারণ হিসেবে স্বামীর অনৈতিক সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ানোকে উল্লেখ করছেন তাঁদের স্বজনরা। আর এ জন্য দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তিও দাবি করেছেন তাঁরা।
আজ শনিবার জানাজা শেষে দাফন করা হয় শামসুন্নাহার ও তাঁর ছোট ছেলে শাওনকে। শামসুন্নাহারের বড় দুই ছেলে মিশু ও অনিক বিদেশ থেকে ফেরার পরই তাঁদের দাফন করা হলো। বাড়িতে ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা।
শামসুন্নাহারের মেজো ছেলে অনিক বলেন, ‘যে এই রকম নরপিশাচের মতো কাজটা করছে, আমার মা’রে আমার মাসুম ছোট ভাইটারে মাইরা ফেলছে, এর যেন কঠোর বিচার হয়।’
বড় ছেলে মিশু জানান, আগেই তিনি মাকে সাবধান করেছিলেন। বাবার তৃতীয় স্ত্রীর নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শও দিয়েছিলেন। তাঁর মা খুব নরম মনের মানুষ ছিলেন। মিশু বলেন, সম্ভবত তাঁদের তিন ভাইয়ের কথা ভেবে মা কোনো কঠিন পদক্ষেপ নেননি।
বুধবার রাজধানীর কাকরাইলের ৭৯/১ বাসভবনের পাঁচতলার নিজ ফ্ল্যাট থেকে মা শামসুন্নাহার ও তাঁর ছেলে শাওনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের স্বজনদের অভিযোগ, স্বামী আবদুল করিম ও তাঁর তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
জানা গেছে, আবদুল করিম তিনটি বিয়ে করেছেন। নিহত শামসুন্নাহার করিম তাঁর প্রথম স্ত্রী। এরপর তিনি আরেকটি বিয়ে করছিলেন। কিন্তু বছর চারেক আগে সেই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে মুক্তাকে বিয়ে করেন। এ হত্যার ঘটনায় আবদুল করিম ও তাঁর তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তাকে ছয়দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।