বাংলার প্রতিদিন ডটকম,
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঁচটি সোনার বারসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আটক ব্যক্তিদের একজন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিরাপত্তারক্ষী, অন্যজন সৌদি আরব থেকে আসা যাত্রী।
আজ বুধবার ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দারা জানান, পাঁচটি সোনার বারের ওজন ৫৮০ গ্রাম। এসব সোনার দাম প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
আটক ব্যক্তিদের নাম কুদ্দুস শিকদার ও রেজাউল করিম। কুদ্দুস শিকদার আজই সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে আসা একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে নেমেছেন। অন্যদিকে আটক রেজাউল করিম বেবিচকের একজন নিরাপত্তাকর্মী। শুল্ক গোয়েন্দারা জানান, রেজাউল নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে ২২ বছর ধরে কর্মরত আছেন। তিনি ‘সিভিল এভিয়েশনের সিকিউরিটি পাস’ নিয়ে এই সোনা চোরাচালানে সহায়তা করছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দারা জানতে পারেন আজ রিয়াদ থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট নং বিজি ০৪০-এর মাধ্যমে সোনা চোরাচালান সংঘটিত হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুল্ক গোয়েন্দার দল বিমানবন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়।
বেলা সোয়া ৩টার দিকে ওই ফ্লাইট বিমান হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করলে শুল্ক গোয়েন্দা তাঁদের নজরদারি বাড়ান এবং বিমান থেকে যাত্রী নামার সময় ওই যাত্রীকে শনাক্ত করে গোপনে অনুসরণ করতে থাকেন। অনুসরণের একপর্যায়ে রিয়াদ থেকে আসা যাত্রী কুদ্দুসকে ইমিগ্রেশন পয়েন্টে শুল্ক গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে কুদ্দুস জানান, বিমানবন্দরে কর্মরত রেজাউল নামক একজনের কাছে পাঁচটি সোনার বার হস্তান্তর করবেন।
পরে কুদ্দুসের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পাঁচ নম্বর ব্যাগেজ বেল্টের সামনে টয়লেটের ভেতর সোনা হস্তান্তরের সময় নিরাপত্তাকর্মী রেজাউলকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চোরাচালানের অভিযোগে আটক এই দুই ব্যক্তিকে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হবে এবং উদ্ধার হওয়া সোনা রাষ্ট্রীয় গুদামে জমা দেওয়া হবে।