ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়ার রতনপুর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে গেছে ॥ ২টি উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ নতুন করে বন্যা কবলিত ॥ ৬টি সড়ক
নিমজ্জিত ॥ ১টি ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে ॥ গু”ছ গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন
শেখ হুমায়ুন হক্কানী, গাইবান্ধা থেকে ॥ ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হ”েছ। শনিবার ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ২২.৫১ সে: মি. এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২০.৬০ সে. মি. বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হ”িছল।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের সিংড়িয়ার রতনপুর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়া পয়েন্টে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় বন্যার পানির তোড়ে বাঁধটি ভেঙ্গে গেছে। হঠাৎ করে বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ায় রতনপুর গ্রামের অনেক মানুষের বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র ও মজুদ ধান-চাল বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া, উদাখালি, উড়িয়া এবং সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ও বোয়ালি ইউনিয়নের বি¯-ৃত এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে এসব এলাকার ৫০ হাজার মানুষ এখন নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার অধিকাংশ বাড়ি-ঘর হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত। এছাড়া এসব এলাকার রোপা আমন, আমন বীজতলা, পাট, শাক সব্জি পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে বন্যার পানির তোড়ে ফুলছড়ি উপজেলার চন্দ্রনস্বর গু”ছ গ্রামটি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে বন্যা কবলিত গৃহহীন পরিবারগুলো ফুলছড়ি উপজেলা হাইস্কুল মাঠে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
বাঁধ ভাঙ্গা বন্যার পানির তোড়ে রতনপুর-বাদিয়াখালি সড়কের হাজিরহাট সংলগ্ন ব্রীজটি ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া কাতলামারি, সিংড়িয়া, উদাখালী, গুণভরি সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ফুলছড়ি উপজেলার সাথে গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের পৌর এলাকার কুটিপাড়া, ডেভিডকোম্পানীপাড়া ও গোদারহাটের ৮টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অব¯’ায় রয়েছে। বাঁধ দিয়ে এখনও পানি চোয়া”েছ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর ব¯-া ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যা”েছ এবং লোকজন বাঁধ পাহারা দি”েছ। এ নিয়ে শহরবাসি আতংকের মধ্যে রয়েছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, বন্যা কবলিত ৪টি উপজেলায় ৬৫টি মেডিকেল টিম স্বা¯’্যসেবায় কর্মরত রয়েছে।