বাংলার প্রতিদিন ডটকম,
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির পাপ যদি ধৌত করতে যায়, তাহলে বুড়িগঙ্গা আরো ময়লা হয়ে যাবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেসকো আন্তর্জাতিক স্মৃতি ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া সবিনয়ে বলি : লুটপাট, খুন, আগুন, সন্ত্রাসে আপনাদের পাপে পাপে, অনেক পাপ জমে গেছে। এটা ধৌত করবে এমন শক্তি কারো নাই।’ তিনি বলেন, ‘পাপীর পাপ ধৌত করতে করতে রামের গঙ্গা ময়লা হয়ে গেছে। আমাদের বুড়িগঙ্গাও ময়লা হয়ে গেছে। বিএনপির পাপ যদি ধৌত করতে যায়, তাহলে বুড়িগঙ্গা আরো ময়লা হয়ে যাবে। আপনি আচরি ধর্ম পরকে শেখান। আগে নিজেরা শুদ্ধ হোন, তারপর অন্যকে বলুন শুদ্ধ হওয়ার জন্য। আপনাদের চেয়ে অনেক ভালো আমরা। আমাদের ভুলত্রুটি আছে, আমরা শতভাগ শুদ্ধ এ কথা বলব না। কিন্তু আপনারা তো শতভাগের কাছাকাছি অশুদ্ধ।’
সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ছুটি থেকে ফিরে ওই ১৫৪ জনের বৈধতার প্রশ্নে করা একটি রিটের শুনানি নিয়ে তাঁদের অবৈধ ঘোষণা করতে পারেন বলে সম্ভাবনা থাকায় তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মোশাররফ (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন) সাহেব কি বলেছেন ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে? ১৫৪ জন নয়, ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এটাও জানেন না তিনি। তিনি যে এ কথাটা কতবার বলেছেন তিনি নিজেও জানেন না। আসেন চ্যালেঞ্জ করুন। চ্যালেঞ্জ করুন এখানে আইনের কী সমস্যা? গণতন্ত্রের কী সমস্যা, নির্বাচনের কী সমস্যা? আপনি নির্বাচনে এলেন না, অপ্রতিদ্বন্দ্বী করলেন অনেককেই। এর দোষ কি জনগণকে নিতে হবে? আপনি এলেন না, দোষ আপনার। এতে নির্বাচনেরও কোনো দোষ নেই। বৈধতারও কোনো সংকট নেই। আদালত কি তাদের (বিএনপি) মতো ঘোড়ার ঘাস খায় নাকি? যে সেই ব্যাপারে রায় দিয়ে দেবে। এখন তো মনে হয় আদালতের স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি রায় যে নির্বাচন কমিশনকে একটি ম্যান্ডেট দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে জিতাতে হবে, তা না হলে হয়তো দেশে আবার আগুন-সন্ত্রাস শুরু হবে। এটা দিলেই বিএনপি খুশি হবে।’
বিচারপতির পদত্যাগ অশনিসংকেত এ কথার জবাবে তিনি বলেন, যেভাবে নেতিবাচক রাজনীতি আঁকড়ে ধরেছে, এটা বিএনপির জন্য অশনিসংকেত। নির্বাচনে না এলে তাদের ভবিষ্যৎ অশনিসংকেত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইতিহাসের মহানায়কের বঙ্গপাশে ইতিহাসের ফুটনোটকে (জিয়াউর রহমান) তুলনা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানকে যখন স্বাধীনতার ঘোষক বলা হয়, তখন মনে হয় তিনি কবরে শুয়ে ছটফট করেন। কারণ তিনি নিজেই বলে গেছেন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঘোষণা স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল।’
জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।