বিপিএলে বাজি ধরা নিয়ে বিরোধের জেরে এই কিছুদিন আগে রাজধানীর বাড্ডায় খুন হয়েছিলেন এক যুবক। সারা দেশেই বিষয়টা বেশ নাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিবিসি) তাই খুবই সতর্ক হয়ে উঠেছে। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়তে থাকে। গত কদিন ৬৫ বাংলাদেশি ও ১২ বিদেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে। দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই বলে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আজ শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানিয়েছেন, মাঠে জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে যে ১২ বিদেশি ধরা পড়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১০ জনই ভারতীয়। বাকি দুজন পাকিস্তানি।
এ ব্যাপারে ইসমাইল হায়দার বলেন, ‘আসলে দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। যদি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়ও, দু-একদিনের মধ্যেই তারা জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসবে। এ কারণে আমরা তাদের মাঠ থেকে বের করে দিয়েছি। পরে যেন আবার মাঠে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারেও সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।’
আর সারা দেশে ক্রিকেট নিয়ে জুয়া প্রসঙ্গে বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেনে, ‘গ্যালারিতে থেকে কেউ যেন বাজির সঙ্গে জড়িত থাকতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা খুবই সতর্ক। পুরো স্টেডিয়ামে আড়াই হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টা নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ধারা সম্ভব হয়েছে।’
জুয়া থেকে ফিরে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন ইসমাইল হায়দার, এই জুয়ার সঙ্গে জড়িয়ে একদিন হয়তো লাভবান হওয়া যায়, কিন্তু ক্ষতিটাই বেশি হয়। জীবনের ওপর চাপ বাড়ে। তাই যুবসমাজের উচিত এর সঙ্গে না জড়ানো। যারা এরই মধ্যে জাড়িয়ে পড়েছে, এখনই সময় তাদের ফিরে আসা।