বাংলার প্রতিদিন ডটকম,
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যারা ইতিহাস বিকৃতি করেন তারাই আজ অন্যদের ইতিহাস বিকৃতি না করার সবক দেন।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন।
মাওলানা ভাসানীর কথা স্মরণ করে দিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “যারা আজকে বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতি করলে ইতিহাস ক্ষমা করে না’ তাঁদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন, পরে মুসলিম বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ হয়। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ভাসানী। অথচ তাঁর কথা স্মরণ করে না তারা! ভাসানীকে স্মরণ না করা কি ইতিহাস বিকৃতি না?’
‘যাঁরা আজ ইতিহাস বিকৃতি করেন তাঁরাই ইতিহাস বিকৃতি না করার সবক দেন। ইতিহাস বিকৃতিকারীরা আজ বড় গলায় কথা বলেন।’ বলেন মোশাররফ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে মাওলানা ভাসানীই প্রথম ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে পাকিস্তানকে বিদায় জানিয়েছিলেন। ১৯৭০ সালে কারাগার ভেঙে শেখ মুজিবকে মুক্ত করে আনার নির্দেশ দিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ভাসানী। অথচ তারা (আওয়ামী লীগ) ভাসানীকে স্মরণ করে না। এসব কি ইতিহাস বিকৃতি নয়? এসব অবদানের কথা যাঁরা স্বীকার করেন না তাঁরাই আজ ইতিহাস বিকৃত না করার স্লোগান তুলেন।’
সরকার রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে মোশাররফ বলেন, ‘ভাসানী থাকলে আজ বিচার বিভাগের ওপর এমন আঘাত করতে পারত না সরকার। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। আজ তারা অলিখিত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে দেশে জঙ্গল আইন কায়েম করতে চায়। এটা অন্যায়। এ অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের সামনে নির্বাচন একটি বড় সংকট। এ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে এখন থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দিতে হবে। রংপুরসহ স্থানীয় নির্বাচনগুলোকে আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য পরীক্ষা হিসেবে নিচ্ছি।’
১২ নভেম্বরের সমাবেশে বাস, লঞ্চসহ সব যান বন্ধ করার পরও গণজোয়ার হয়েছে দাবি করে মোশাররফ বলেন, এ গণজোয়ার আর থামানো যাবে না।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।