অনলাইন ডেস্কঃ
রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হয়েছে।
রোহিঙ্গারা আগামী দুই মাসের মধ্যেই তাদের নিজ দেশে ফিরতে শুরু করবে এমন আশাবাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার দু’দেশের মধ্যে এই চুক্তি হলো। তবে কতদিনের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে সে বিষয়ে চুক্তিতে কোনো সময়সীমার উল্লেখ নেই। খবর ইউএনবির
বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে তার কার্যালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর বৈঠকের পর প্রতিবেশী দেশদু’টির মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চুক্তিটি সই হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির স্টেট কাউন্সিলরের কার্যালয়ের মন্ত্রী কেয়াউ তিন্ত সোয়ে চুক্তিতে সই করেন।
সই হওয়ার পর ‘রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ফেরানোর চুক্তি’ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীই সাংবাদিকদের জানান। এর আগে বুধবার কেয়াউ তিন্ত সোয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার এ চুক্তি হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ২৫ আগস্ট বর্মী সেনারা রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রাখাইন থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গারা বলছেন, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে সেনা সদস্যরা।
রাখাইনে ৩০টি পুলিশ ও সেনা চৌকিতে গত ২৪ আগস্ট রাতে সমন্বিত হামলার পর এ অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। ওই হামলার জন্য ‘রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের’ দায়ী করে এ অভিযানকে ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই’ বলে দাবি করে আসছে মিয়ানমারের সেনা ও সরকার। তবে জাতিসংঘ একে রোহিঙ্গাদের ‘জাতিগতভাবে নির্মূলের চেষ্টা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।