অনলাইন ডেস্কঃ
পাবনায় পৃথক ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্যসহ দুজন গুলিতে নিহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়নে সাবেক ইউপি সদস্য সবুজ মণ্ডলকে (৩৮) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়নের দুর্গাপুর খানকাপাক বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পাবনার সুজানগর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুর্গম দুর্গাপুর খানকাপাক বাজারের লাল মিয়ার দোকানে বসে কথা বলছিলেন সবুজ। এ সময় কয়েকজন এসে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে দোকান থেকে বের করে এবং গুলি করে হত্যা করে। যাওয়ার সময় তারা সর্বহারা দলের স্লোগান দিতে থাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বাজারের লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, নিহত সবুজ ওই এলাকার অপর একটি চরমপন্থী সংগঠন জুলহাস বাহিনীর আঞ্চলিক নেতা ছিলেন।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
এদিকে, আজ পাবনার ছাতিয়ানী মহল্লায় এক যুবক গুলিতে নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম বাবু খন্দকার। পুলিশের দাবি, নিজের পিস্তলের গুলিতে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তিনি পাবনা পৌর এলাকার ছাতিয়ানী মহল্লার ফজলে রাব্বি সড়ক এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে বাবু খন্দকার নিজ বাড়িতে সবার অগোচরে নিজের কাছে থাকা অবৈধ পিস্তল দিয়ে বুকের ডান পাশে গুলি করেন। তাঁর মা বাইরে থেকে বাড়িতে এসে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পুলিশ পিস্তলটি জব্দ করেছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক জানান, এ ঘটনার নিহত বাবু খন্দকারের মা বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করেছেন। নিহত বাবু খন্দকারের বিরুদ্ধে পাবনা থানায় দুটি মামলা রয়েছে।
ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে অবৈধ পিস্তলের গুলিতে নিহত হওয়ায় এ ব্যাপারেও অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে।