শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ইউনিয়নের সি সি ডিবি সংলগ্ন
দক্ষিণ এলাকায় টেংরা সড়কের আশ পাশ থেকে সরকারী গাছ রাতের
আঁধারে কেটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ
স্থানীয় প্রশাসন দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনানুগ
ব্যবস্থা না নেয়ায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।
ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাংবাদিকদের জানান, গত এক
মাস যাবৎ কে বা কারা রাতের আঁধারে সড়কের দুই পাশের সরকারী
গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবী পুলিশ প্রশাসনের
সচেনতার অভাবেই সরকারী গাছ রাতের আঁধারে কেটে নিচ্ছে
দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর জোর দাবী, সরকারী গাছ
কেটে নেয়ার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে
আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক।
রোববার বিকেলে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মৃত কেরামত
আলীর ছেলে মাহাম্মদ আলী তেলিহাটি সড়কে নয়নপুর বাজারের
পুর্বপাশে সরকার স’মিলে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় গজারি বনজ
গাছ ‘স’মিলে নিয়ে গেছে।
অনেক সময় দিনের বেলাতেও তাদের লোকজন দিয়ে গাছগুলি তারা
কেটে লুট করে নিয়ে যায়। অবস্থা দেখে মনে হয় ওই এলাকায় চলছে
গাছ কাটার মহোৎসব। এ খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ
কাটার দৃশ্য ছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের সাথে কথা
বলে গাছ লুটের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার নয়নপুর থেকে তালতলি
সড়কের বড়বাড়ি ব্রীজ সংলগ্ন টমটম গাড়ী ভর্তি গজারি গাছ
দেখা গেছে। গাছ কাটার কথা জানতে চাইলে সরকার ‘স’মিলের
মালিক সাফি সরকার সাংবাদিকদের বলেন, তেলিহাটি
ইউপিঃচেয়ারম্যানের কাছে অনুমুতি নিয়ে গাছ কাটা হয়েছে।
‘স’মিলের মালিক সাফি সরকার আরো বলেন,স্থানীয় মৃত কেরামত
আলীর ছেলে মাহাম্মদ আলী বাসা-বাড়ি নির্মানের জন্য গাছ
কাটা হয়েছে। মাহাম্মদ আলী অনুমুতি নিয়ে কেটেছে। আমরা
শুধু ‘স’মিলে গাছ কেটে দিয়ে সহযোগিতা করছি। কিন্তু
সাংবাদিক আসার কথা শুনে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন মিল মালিক।
এ সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী
জানান,প্রায় সময় রাতের আধঁরে নয়নপুর বাজারের পূর্ব পাশে
সরকার‘স’মিলে বড় বড় গজারি গাছ কাটে।
স্থানীয় অনেকে জানান। বনের ভিতরে গাছ কাটার পর গাছের
গোড়া তুলে মাটি দিয়ে সমান করে রাখা হচ্ছে যাতে সহজে
বোঝা না যায় এখানে কোন গাছ ছিল। প্রায়সময় বনের ভিতরে
তারা বিভিন্ন জাতের গাছও কেটে নিয়ে যায়। গাছ কাটতে
আসা কয়েকজন শ্রমিক জানায়, মেম্বার ও চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়
নেতাদের কাছে গাছ কাটার চুক্তি করে এবং তাদের জানিয়ে এ
গাছগুলি তারা কিনে নিয়েছেন। এজন্য তারা গাছ কাটতে
এসেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানায়, গাছগুলি কেটে
নেয়ায় তারা বাধা দিতে সাহস পাননি। পরে শুনেছেন তারা সবাই
সরকারি দলের লোক।
সাতখামাইর ভিট কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের সাথে কথা বললে
গাছ কাটা প্রসঙ্গে জানান, গাছ কাটার বিষয়টি তাঁর জানা
নেই। কেউ যদি সরকারী বনজ গাছ কেটে থাকে তাহলে বিষয়টি
তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।
নয়নপুর বাজারের পূর্ব পাশে সরকার‘স’মিলে নেয়া গাছের খবর
আমরা জানতে পারে সেগুলো উদ্ধার করছি। আগামী দু/এক দিনের
মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স’মিল গুলো পরিদর্শন করে দেখব।ৃ